গবেষণা করলেই হবে না, ফলাফলটাও জানাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

সময়: বৃহস্পতিবার, মার্চ ৫, ২০২০ ৪:২৬:১৬ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন বলেছেন, ‘গবেষণাটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু গবেষণা করলেই চলবে না, গবেষণার ফলাফল কী সেটাও জানতে চাই, সেটা যে দেশের জন্য কাজে লাগছে তা নিশ্চিত হতে হবে।’ গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে কীভাবে তা নিশ্চিত করতে গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের উন্নয়নে গবেষণার গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে স্ট্রবেরি বাংলাদেশে উৎপাদন করা হচ্ছে। আজকে খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশে, সেটাও কিন্তু গবেষণার ফসল। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পাশাপাশি এখন পুষ্টির নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ চলছে। মাছ, সবজি উৎপাদনেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এসবই হয়েছে গবেষণার জন্য।’
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান ২০২০ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে দেখলাম, কেউ বিজ্ঞান শিক্ষা নিতেই চায় না। কম্পিউটার কেউ ছুঁয়েও দেখতো না। আমরা উদ্যোগ নিলাম, ট্যাক্স তুলে দিলাম। এখন সবার হাতে হাতে ল্যাপটপ। প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে, সেটা দিয়েই সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।’
এসএসসি পর্যন্ত শিক্ষায় কোনও ভাগ থাকা উচিত নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আইয়ুব খানের সময় ক্লাস নাইন থেকেই বিজ্ঞান, মানবিক প্রভৃতি আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসএসসি পর্যন্ত সবার এক শিক্ষা থাকা ভালো, কোনও ভাগ থাকবে না, কিছু মৌলিক বিষয়ে সবার শিক্ষা থাকা ভালো, এরপর বিশেষায়িত শিক্ষার জন্য বিভাগ আলাদা হওয়া উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে আরও সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে। শিক্ষকদের সম্মান করতে হবে। বাবা-মার কথা শুনতে হবে। পড়ালেখা করতে হবে। খেলাধুলাও করতে হবে। নিজের দেশকে ভালোবাসতে হবে। আজকের শিশুরা আগামী দিতে যেনো সুন্দর একটা জীবন পায়। কেউ যেনো বঞ্চিত না হয়, শহর-গ্রাম সবখানেই যেনো উন্নয়ন হয়। উন্নয়নের সব পরিকল্পনা গ্রামকে ঘিরেই করে যাচ্ছি। পুরো দেশটা যেনো সমানভাবে উন্নত হয় সেসব ভেবেই কাজ করছি।’
দেশ স্বাধীনের পরেই বঙ্গবন্ধু আধুনিক শিক্ষার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ রোগে মারা গেলে আগে আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দিতো, হায়াত নাই তাই বাঁচলো না বলা হতো। এই পরিস্থিতির উন্নয়নে ড. কুদরত ই খুদাকে দিয়ে, একজন বিজ্ঞানীকে দিয়ে, শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন বঙ্গবন্ধু। বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি বঙ্গবন্ধু যে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, তা এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায়। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার যাত্রা শুরু করতেও পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি সেসময়েই।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, এবারের ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ২০০ জনকে উচ্চশিক্ষার জন্য ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি। সেখান থেকেও উচ্চ শিক্ষার জন্য, গবেষণার জন্য অর্থ দিয়ে থাকি।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৪০৪ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged