ন্যূনতম মূলধন বাড়াতে হবে ডিএসইর ব্রোকারহাউগুলোর

সময়: বৃহস্পতিবার, জুলাই ৯, ২০২০ ৪:১৯:২২ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২ বছরের মধ্যে ন্যুনতম মূলধন উন্নীত করতে হবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার বা ব্রোকারহাউজগুলোর। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিদ্যমান ট্রেকহোল্ডার বা ব্রোকারহাউজগুলোর ন্যূনতম মূলধন বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ২ বছরের মধ্যে ন্যুনতম মূলধন ১০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। গতকাল বুধবার (৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ডিএসইতে ৮৭ টি ব্রোকারহাউজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩ কোটি টাকার কম। এত কম টাকার মূলধন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের অনেক টাকার তহবিল সামলান তারা। তাই মূলধন বাড়িয়ে ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ডিএসইর পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে, আগামী ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিটি ব্রোকারহাউজকে পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৫ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। আর পরের অর্থবছরে তথা ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে মূলধন বাড়িয়ে করতে হবে ১০ কোটি টাকা।

শুধু বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নয়, ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে বৈষম্য দূর করার জন্যেও পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে ডিএসইর পরিচালনা পরিষদ। কারণ গতকালের পর্ষদ সভাতেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামীতে বাস্তবতা বিবেচনা করে ডিএসই কিছু ট্রেক ইস্যু করতে পারে। আর নতুন ট্রেকের জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য যোগ্যতার পাশাপাশি তার পরিশোধিত মূলধন হতে হবে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা। বিদ্যমান ও নতুন ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে যাতে মূলধনের দিক থেকে বৈষম্য না থাকে সে লক্ষ্যে বর্তমান ট্রেকহোল্ডারদের পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে নতুন ট্রেকহোল্ডারদের ন্যুনতম মূলধনের সমান করা হবে।

বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, বর্তমান ট্রেকহোল্ডাররা যদি তাদের ফ্রি লিমিট ১০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন করতে চান, তাহলে ডিএসইতে বাড়তি টাকা অথবা শেয়ার জামানত রাখতে হবে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩২৮ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged