পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিশেষ তহবিলের বাইরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো

সময়: সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০ ১:২৮:২৭ পূর্বাহ্ণ


সাইফুল শুভ : ব্যাংক বর্হিভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (লিজিং কোম্পানি) পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিশেষ তহবিলের বাইরে থাকায় সংশ্লিষ্টরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোর মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা উচিত ছিল।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ তহবিলের অর্থ নিতে হলে কোনো ব্যাংকের কাছ থেকে নিতে হবে। এতে তাদের ৭ শতাংশ সুদ দিতে হবে। যেহেতু ব্যাংকগুলো ৫ শতাংশ সুদে ঋণ পাবে। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) থেকে শুরু করে শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিশেষ তহবিলের বাইরে রয়েছে।

বর্তমানে এ খাতের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ, পিএফআই সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, বিএলআই সিকিউরিটিজ, রিলায়েন্স ব্রোকারেজ, উইনিক্যাপ সিকিউরিটিজ, প্রিমিয়ার লিজিং সিকিউরিটিজ এবং বিডি ফাইনান্স সিকিউরিটিজ উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান শীর্ষ ১০ ব্রোকারের তালিকায় রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ তহবিলের সুবিধা দিতে পারে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে আলাদা সার্কুলার করতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইডিএলসি সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাইফুদ্দিন দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুততার সঙ্গে পুঁজিবাজারকে সহায়তা করার জন্য ব্যাংকগুলোর জন্য সার্কুলার করেছে। ব্যাংক থেকে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলো পুনঃঅর্থায়নের (রি-ফাইন্যান্স) জন্য নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে ৭ শতাংশ সুদ দিতে হবে। পরবর্তীতে যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে লিজিং কোম্পানিগুলোর জন্য কোনো বিশেষ তহবিল পাওয়া যায়Ñ সে বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

লিজিং কোম্পানিগুলো বলছে, ব্যাংকগুলো যদি নিজেদের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্পূর্ণ বিনিয়োগ করে। সেক্ষেত্রে লিজিং কোম্পানির জন্য অর্থায়ন পাওয়া সহজ হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ১০ ফেব্রুয়ারির সার্কুলার অনুযায়ী, প্রত্যেকটি তফসিলি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে। সে হিসেবে মোট ৫৯টি তফসিলি ব্যাংককে ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ তহবিল দিবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ৭ শতাংশ সুদ হারে ঋণ হিসেবে দিতে পারবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকসমূহ ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত যে কোন কার্যদিবসে রেপোর মাধ্যমে বর্ণিত ২০০ কোটি টাকার সীমার মধ্যে যে কোন অংকের তহবিল বাংলাদেশ ব্যাংক হতে সংগ্রহ করতে পারবে। রেপোর সুদের হার ৫ শতাংশ নির্ধারিত থাকবে এবং কোন প্রকার অকশনের প্রয়োজন হবে না।

তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সাবসিডিয়ারীর ক্ষেত্রে এরূপভাবে গঠিত পোর্টফোলিও’র বাজারভিত্তিক পুনঃমূল্যায়ন ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে এবং ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগ আর্থিক বিবরণীতে প্রকাশ করতে হবে। পুনঃমূল্যায়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ (ডিলার) সংশ্লিষ্ট মূল নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করবে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ২৮৯ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged