বিএসইসি ও ডিএসইকে চ্যালেঞ্জ কনফিডেন্স সিমেন্টের

সময়: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩১, ২০১৯ ৯:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ


সাইফুল শুভ : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড। আইন অমান্য করে বোনাস ঘোষণা করে ‘শোকজ’ দেয়ার কারণে উল্টো বিএসইসি ও ডিএসইকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। শোকজ করার আইনগত ভিত্তি নেই বলেও জানিয়েছে কোম্পানি সূত্র।
জানা গেছে, বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ধারণ করার নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করলে রাইট শেয়ার, আরপিও, বোনাস শেয়ার, একীভূতকরণের মাধ্যমে মূলধন বৃদ্ধি করতে পারবে না। চলতি বছরের ২১ মে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিএসইসি। এরই মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করে। পরদিন বিএসইসি তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। শোকজের প্রেক্ষিতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে কোম্পানিটি।
শোকজের বিষয়ে জানতে চাইলে কনফিডেন্স সিমেন্টের কোম্পানি সচিব দেলোয়ার হোসেন শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, বিএসইসি ও ডিএসই চাইলেই শোকজ দিতে পারে না। আমরা শোকজ সম্পর্কে কিছু জানি না। আর যদি শোকজ দিয়ে থাকে তাহলে বিএসইসি ও ডিএসইকেই প্রশ্ন করুন কেন শোকজ দিয়েছে। এর বাইরে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এদিকে পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার সম্পূর্ণ করতে কনফিডেন্স সিমেন্টের করপোরেট পরিচালক কনফিডেন্স স্টিল লিমিটেড ১ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছে। এ পরিমাণ শেয়ার বর্তমান বাজার দরে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে পাবলিক মার্কেট থেকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কেনা হবে। এই ১ লাখ শেয়ার কেনা হলে কনফিডেন্স সিমেন্টের পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ধারণকৃত শেয়ার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যার পরিমাণ ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৯টি। এর ০.১৫ শতাংশ শেয়ারের পরিমাণ ১ লাখ। অন্যদিকে বর্তমানে কোম্পানির পরিচালকদের মোট শেয়ার ধারণ ২৯.৮৮ শতাংশ। ১ লাখ শেয়ার কেনার পর পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩০.০৩ শতাংশ। তাই কনফিডেন্স সিমেন্ট চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।
পুজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছে, যে মুহূর্তে কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার সুপারিশ করেছে- এই সময় তাদের হাতে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। ৩০ শতাংশ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আইনের আওতায় বোনাস লভ্যাংশ দিতে পারে না। ৩০ শতাংশ পূর্ণ হতে আরও এক মাস সময় প্রয়োজন। অথচ তারা বিএসইসিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বোনাস দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কোম্পানিকে কঠোর শাস্তির আওতায় না আনলে অন্য কোম্পানিগুলো সাহস দেখাবে।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ১০ টাকা ফেসভ্যালুর এ কোম্পানটির শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৯টি। এসব শেয়ারের মধ্যে চলতি আর্থিক বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ২৯.৮৮ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৫.৭৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪৪.৩৪ শতাংশ শেয়ার। কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৭ ও ২০১৮ সমাপ্ত আর্থিকবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ করে বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩০৭ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged