লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ সেরা ব্রোকার নির্বাচিত

সময়: বুধবার, জুলাই ৮, ২০২০ ১১:২৮:৩৫ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে লেনদেনে সেরা ব্রোকার হয়েছে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড। এ নিয়ে টানা ১৪ বছর সেরা ব্রোকার নির্বাচিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ডিএসই সূত্র এই তথ্য জানা গিয়েছে।

আলোচিত বছরে লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইসিবিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেড। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল যথাক্রমে সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড ও ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড।

পরের পাঁচটি অবস্থানে ছিল যথাক্রমে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, এমটিবি সিকিউরিটিজ ও শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

টানা ১৪ বারের মতো সেরা ব্রোকার হওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে লংকাবাংলা সিসিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালন মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী অর্থসূচককে বলেন, নিঃসন্দেহে এটি আনন্দিত হওয়ার মতো বিষয়। তবে এই অর্জনে আমার একক কোনো ভূমিকা নেই। এটি আমাদের টিম ও সম্মানিত গ্রাহকদের যৌথ অবদানের ফসল।

আগামী দিনে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজে নতুন কোনো গ্রাহক সেবা বা প্রযুক্তিগত সুবিধা যুক্ত হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ভাবছি। তবে এর সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আইটি অবকাঠামোর উন্নয়নের সম্পর্ক আছে। আঞ্চলিক বাজারগুলোর তুলনায় আমাদের বাজার তথ্য প্রযুক্তির অবকাঠামোর দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। আমরা আমাদের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্যে অনলাইন সেবা নিশ্চিত করতে পারিনি। শুধু আইটি অবকাঠামো ঠিক না থাকায় করোনার সাধারণ ছুটিতে আমাদের বাজারে লেনদেন বন্ধ রাখতে হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাজারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।

তিনি বলেন, ডিএসইর অনলাইন অবকাঠামো শক্তিশালী হলে অনলাইনে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কিত শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়ানোর নানা উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে। এমন করা যেতে পারে যে, বিও হিসাব খুলতে হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মৌলিক কিছু বিষয় জানতে হবে এবং ডিএসইর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ৩০ মিনিটের একটি পরীক্ষা দিতে হবে। যিনি মার্জিন অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইবেন তার জন্যে থাকবে আরেকটু উচ্চতর পরীক্ষা। অন্যদিকে যখন এখানে ডেরিভেটিভস চালু হবে তখন ডেরিভেটিভস লেনদেনের জন্যেও বিনিয়োগকারীদের আলাদা পরীক্ষা থাকবে। বাজার সম্পর্কে জানা ও পরীক্ষার মাধ্যমে তারা এক স্তর থেকে অন্যস্তরে উন্নীত হবে। তাতে তাদের বিনিয়োগ ঝুঁকি কমে আসবে। বাজারও অনেক বেশি স্থিতিশীল থাকবে।

বিদায়ী বছরে ১১তম থেকেও ২০ তম অবস্থানে ছিল যথাক্রমে-ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ, এআইবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজ, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক সিকিউরিটিজ ও এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged