লোকসানের কবলে বস্ত্রখাতের তালিকাভুক্ত ৯ প্রতিষ্ঠান

সময়: মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০ ১২:২২:১৭ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের ৯ কোম্পানি লোকসানের কবলে পড়েছে। এছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নাজুক পরিস্থিতিতে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। লোকসানের কবলে পড়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরও তলানিতে নেমে গেছে।
মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৪ সালে। তালিকাভুক্তির পর থেকে কোম্পানিটি মন্দা পরিস্থিতিতে পড়েছে। গত চার বছর ধরে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। সর্বশেষ প্রকাশিত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর,১৯) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ১৫ পয়সা। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২৭ পয়সা। দিন যতই যাচ্ছে লোকসানের পরিমাণ ততই বাড়ছে।
তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারবাজারে ২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে কোম্পানিটি বেশি দিন তাদের মুনাফা ধরে রাখতে পারেনি। অবশেষে কোম্পানিটি লোকসানে পড়েছে। কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। সর্বশেষ প্রকাশিত কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর,১৯) তিন মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ পয়সা। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৯৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৪ পয়সা। দিন দিন কোম্পানির লোকসান বাড়ছে।
মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং বা তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজই নয় বস্ত্রখাতের ৯ টি প্রতিষ্ঠানের লোকসান দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান লোকসানে রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- প্রাইম টেক্সটাইল, জাহিন টেক্স, সাফকো স্পিনিং, আরএন স্পিনিং, জাহিন স্পিনিং, দুলামিয়া কটন, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এরমধ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রাইম টেক্সটাইলের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২১ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৮ পয়সা।
জাহিনটেক্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৬৬ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫১ পয়সা।
সাফকো স্পিনিং: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ পয়সা। ছয় মাসে এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১০ পয়সা।
আরএন স্পিনিং: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১০ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা।
জাহিন স্পিনিং: দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৯২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ১৮ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮৩ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৪৫ পয়সা।
দুলামিয়া কটন: দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ২৮ পয়সা।
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসানের পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৭০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged