নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এনইসি সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে এই তথ্য তুলে ধরেন।
এ সময় সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম বলেন, সোনাদিয়া দ্বীপে জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সেজন্য গভীর সমুদ্রবন্দর করলে সেটি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সেজন্য সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, সমুদ্রবন্দর অন্যত্র গড়ে তোলা হবে- এরকম একটি ধারণা প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে দিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ের শেষ দিকে এ বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সেখানে সমুদ্র বন্দর থেকে সরে আসব- বিষয়টা এরকম না। এখানে আলোচনা হয়েছে যে, সোনাদিয়া সুন্দর জায়গা। এর বৈচিত্র রক্ষা করা হোক। গভীর সমুদ্রবন্দর হবে নাকি অগভীর হবে, না পর্যটনকেন্দ্র হবে সেটা ভবিষ্যতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। মূল কথা হলো, সোনাদিয়াকে অক্ষত রাখা হবে।
সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেই কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেয়। বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে এসে আট বছরের মাথায় প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকলেও বর্তমানে আলোচিত এই মেগা প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, অর্থায়নের উৎস নিশ্চিত না হওয়ায় মূলত এই প্রকল্পটি থেমে গেছে। তবে সোনাদিয়া থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য যেখানে কয়লার জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
আজ এনইসি সভায় অনুমোদন পেয়েছে দেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১- ৪১। এই ২০ বছরের মধ্যে এ প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হবে। ২০৪১ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এই ২০ বছরে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ুষ্কাল বেড়ে দাঁড়াবে ৮০ বছরে। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের হিসেবে গড় আয় ৭২ দশমিক ৩ বছর থেকে ২০৩১ সালে বেড়ে হবে ৭৫ বছর।
এ ২০ বছরব্যাপী রূপকল্প তৈরি করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান
