সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

অপ্রত্যাশিত পতনে দোদুল্যমান বাজার, পর্যবেক্ষণে বিনিয়োগকারীরা

সময়: বুধবার, অক্টোবর ৮, ২০২৫ ৭:০৪:০১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:  কয়েক মাসের ধারাবাহিক উত্থানের পর হঠাৎ অপ্রত্যাশিত পতনে দোদুল্যমান হয়ে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বছরের শুরু থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানো বাজার সেপ্টেম্বর নাগাদ ৫ হাজার ৫০০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে গিয়েছিল এবং দৈনিক লেনদেন পৌঁছেছিল দেড় হাজার কোটি টাকায়। কিন্তু এনআরবি আর চেয়ারম্যানের বিতর্কিত চিঠিকে কেন্দ্র করে বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। যদিও পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধান হয়, তবুও বাজারে অস্বাভাবিক আচরণ অব্যাহত রয়েছে—যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

লেনদেনের শুরুটা আশাব্যঞ্জক হলেও, মধ্যাহ্নের পর থেকেই সূচকের টানা পতন দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা এখন পুঁজির সুরক্ষায় সতর্ক অবস্থান নিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন।

🔻 সূচক ও লেনদেনের সার্বিক চিত্র
বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী সূচনার পর দুপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক ওঠানামা চললেও সাড়ে ১২টার পর থেকে সূচকের ধারাবাহিক পতন শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত দিনশেষে সূচক নিম্নমুখী অবস্থায় বন্ধ হয়।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৯.১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫,৩৩৭.৮৬ পয়েন্টে।
অন্যদিকে ডিএসইএস সূচক ১২.৩৬ পয়েন্ট কমে ১,১৪৯.১৮ পয়েন্টে, এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ২,০৫১.৫৩ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০৫টির দর বেড়েছে, ২২১টির কমেছে এবং ৭৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল।

মোট ৬১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের ৭৮৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা লেনদেনের তুলনায় প্রায় ১৭৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা কম।

🔻 সিএসইতেও একই চিত্র
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ উভয়ই কমেছে। এদিন সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের ১২ কোটি ২২ লাখ টাকা থেকে কম।

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫টির দর বেড়েছে, ১০৪টির কমেছে এবং ৩০টির অপরিবর্তিত ছিল।

সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৩.৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫,১৭৯.১৪ পয়েন্টে, যেখানে আগের দিন সূচক কমেছিল ১১৮.৩৬ পয়েন্ট।

🔍 বিশ্লেষণ
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক পতনকে “বাজারের স্বাভাবিক সমন্বয়” বলা গেলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনো পুরোপুরি ফিরে আসেনি। তারা মনে করছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নীতিগত স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত বাজারে টেকসই ইতিবাচক গতি দেখা কঠিন।

 

Share
নিউজটি ৪১ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged