‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’-এ প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ (এপিএ)-এর অধিকাংশ সূচকেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ’ (আইসিবি)। বলাবাহুল্য, দেশের পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন সময়ে আইসিবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পুঁজিবাজারের ক্রান্তিকালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একমাত্র ভরসার জায়গা হচ্ছে আইসিবি। এসব দিক বিবেচনা করে আইসিবি’র সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর সরকারের নীতি-নির্ধারকদের বিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের পরিমাণ বাড়ানো, নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ানো, ইক্যুইটি হিসেবে অর্থ বিতরণ, মার্জিন ঋণ বিতরণ ও আদায় এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে আইসিবি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। তবে প্রকল্প ঋণ বিতরণ ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড সার্টিফিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে সংস্থাটির অর্জন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অধিক। এ প্রেক্ষিতে যেসব সূচকে সংস্থাটির অর্জন সন্তোষজনক নয়, সেসব ক্ষেত্রে আগামীতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে আইসিবি-কে নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
আইসিবি’র নিজস্ব মতে, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে মুদ্রাবাজার থেকে পরিবর্তনশীল সুদহারে সংগৃহীত তহবিলের ওপর নির্ভরশীলতা এবং পর্যাপ্ত তহবিল প্রাপ্তির সীমাবদ্ধতা; স্বল্পমেয়াদে তহবিল সংগ্রহ করে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের ফলে সংস্থার তহবিল ব্যয় ও সুদ ব্যয় বেড়ে যাওয়া; বিপুল পরিমাণ মার্জিন ঋণ অনাদায়ী থাকা সংস্থাটির প্রধান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ। এছাড়া প্রয়োজনীয় লোকবল ও দক্ষ জনশক্তির অভাব এবং সরকারের পক্ষ থেকে লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানা যায়।
আইসিবি’র সক্ষমতা বাড়াতে হবে
সময়: সোমবার, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯ ৪:১২:৫৬ অপরাহ্ণ