ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতি মেনে চলছে না দেশে ব্যবসা পরিচালনারত নতুন জীবন বীমা কোম্পানিগুলো। ফলে কোম্পানিগুলোর আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো ভারসাম্য থাকছে না। দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো কোম্পানি গত বছর যা আয় করেছে, ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এর দ্বিগুণ। যা সার্বিকভাবে বীমা খাতের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ।
বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যয় কমানোর জন্য আইডিআরএ নানাভাবে চাপ দিচ্ছে বলে জানা যায়। কারণ ব্যয় না কমালে তারা মুনাফায় আসবে না। অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে আইডিআরএ।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, গত বছর যা আয় হয়েছে, তার দ্বিগুণেরও বেশি ব্যয় করেছে ‘ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স’। অবস্থা পরিবর্তন হয়নি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও। কোম্পানিটি ২০১৮ সালে মোট ২২ কোটি ৮১ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে, একই সময়ে এর ব্যবস্থাপনা বাবদ ব্যয় হয়েছে ৪৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যা মোট আয়ের চেয়ে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বা ২০৩ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানি ব্যবস্থাপনা বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। যা আয়ের তুলনায় ১৯৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
একই চিত্র দেখা যায় ‘বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স’-এর ব্যবসায়িক প্রতিবেদনে। গত বছর বেস্ট লাইফের মোট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, আর ব্যবস্থাপনা বাবদ ব্যয় হয়েছে ২৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এ সময় কোম্পানিটি অতিরিক্ত ব্যয় করেছে ২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। যা মোট আয়ের তুলনায় ১৫১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি। জানা যায়, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে এর অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। যা আয়ের তুলনায় ২১০ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।
শুধু ট্রাস্ট বা বেস্ট লাইফ নয় বরং ২০১৩ সালে দুই দফায় অনুমোদন পাওয়া নতুন অধিকাংশ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বাবদ ব্যয় তাদের আয়ের তুলনায় অনেক বেশি। নতুন বীমা কোম্পানির ব্যয় বৃদ্ধির এ প্রবণতাকে আশঙ্কাজনক মনে করছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।