নিজস্ব প্রতিবেদক : বীমা খাতের কোম্পানি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। আজ ১৮ আগস্ট,মঙ্গলবার সিডিবিএলের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। এর আগে গত ২৩ জুলাই কোম্পানিটি লটারির ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে। গত ২ জুলাই কোম্পানির আইপিও আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড সূত্রে তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পরযন্ত কোম্পানিটির আবেদন গ্রহণ চলে। কিন্তু গত ১৮ জুন কোম্পানির আইপিও আবেদন গ্রহণের সময় শেষ হলে সময় বাড়ানোর জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করে। কোম্পানির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএসইসি গত ২ জুলাই পরযন্ত সময় বাড়ানোর অনুমতি দেয়।
এর আগে কোম্পানিটি গত ১৩ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পরযন্ত আইপিও আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস ইস্যুতে পুঁজিবাজার গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০মার্চ পরযন্ত বন্ধ থাকায় কোম্পানিটির আবেদন গ্রহণ বন্ধ ছিল।
বিএসইসি সূত্র জানায়, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে শেয়ার ইস্যু করবে।
উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোম্পানিটিকে পাবলিক ইস্যু রুলসের বিবি ৩(৩)(সি) এর বিধানাবলী পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে। এছাড়া আইপিও’র মাধ্যমে উত্তোলিত মূলধনের ২০% অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ার ক্রয়ের ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম-এ অংশগ্রহনে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারীকে ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম শুরুর দিন হতে পূর্ববর্তী পঞ্চম কার্যদিবস শেষে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যূনতম ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস,২০১৫ (সংশোধিত) বিবি ৩(৩)(সি) এর বিধানে বলা হয়েছে, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ১০% অথবা ৩০ কোটি টাকা যেটি বেশি সেই পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, আইপিও পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটির নিচে হবে না। এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সকে পাবলিক ইস্যু রুলসের এই বিধান পরিপালন থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান