নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘করোনাভাইরাস’ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে ভাইরাসটি চীনের মধ্যে সীমাবন্ধ আছে। যদি এটি মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েÑ তাহলে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ে ভাটা পড়বে।
শুধু তাই নয়, যদি করোনাভাইরাস চীনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে তাহলে গোটা বিশ্ব অর্থনীতিকে তছনছ করে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যদিও বর্তমানে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এক হাজার ১০৪ কোটি ১৯ লাখ (১১.০৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন তারা।
এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৬৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।
তবে চীনের উহান থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস চীনের বাইরের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়লে রেমিটেন্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকিং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাস এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। এটা যদি চীনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেÑ তাহলে আমাদের রেমিটেন্সে কোনো সমস্যা হবে না। আর যদি মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সমস্যা হবে। শেষ পর্যন্ত এটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ১৬৮ কোটি ৭০ লাখ রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরাÑ যা ছিল এক মাসের হিসাবে বাংলাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স। এখন পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ, ২০১৯ সালের মে মাসে।
আর রেমিটেন্স প্রবাহের এই ইতিবাচক ধারায় রপ্তানি আয়ে বড় ধাক্কার পরও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। দু’ শতাংশ হারে প্রণোদনার কারণেই রেমিটেন্সে সুবাতাস বইছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।
বাংলাশে ব্যাংকের রেমিটেন্স সংক্রান্ত হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারির চেয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে প্রায় ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স বেশি এসেছে।
গত অর্থবছরের এই সাত মাসে ৯০৯ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে এসেছে ১ হাজার ১০৪ কোটি ১৯ লাখ ডলার। শতাংশ হিসাবে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান