খুব শীঘ্রই সরকার শেয়ারবাজারের দিকে আরও অধিক নজর দিবে

সময়: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪ ৮:১৬:০৯ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: খুব শীঘ্রই সরকার শেয়ারবাজারের দিকে আরও অধিক নজর দিবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের মূল শক্তি হলো বিনিয়োগকারীরা। তাদের আস্থার ওপর নির্ভর করে শেয়ারবাজারের ভবিষ্যত। তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারলেই বাজার স্থিতিশীল হবে মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতবিার (২৮ নভেম্বর) ডিএসই ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী ‘কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারঅ্যাকটিং ইস্যু ফর দ্য টিআরইসি হোল্ডারস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপণী দিনে সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে ব্রোকারেজ হাউজের সিইও, সিএফও, কমপ্লায়েন্স অফিসার ও অনুমোদিত প্রতিনিধিদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে অনুমোদিত প্রতিনিধিদের কমপ্লায়েন্সের সকল নির্দেশনা সঠিকভাবে মেনে চলে লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। আপনারা হচ্ছেন বাজারের মূল সহায়ক শক্তি৷

ডিএসই’র এই পরিচালক আরো বলেন, বাংলাদেশে সার্বিক অর্থনীতির সাথে সমন্নয় রেখে শেয়ারবাজার বড় হয়নি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাজারে কোনো বাজে আইপিও না আসা। অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এরমধ্যে-টাকা পাচার বন্ধ এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণের কিস্তি না দিলে ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, একজন বিনিয়োগকারীর জন্য আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হতে পারে। অপরপক্ষে কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য অডিট ফার্মগুলোর মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের শেয়ারবাজারের পরিধি ছোট হওয়ায় অনেক গুজব বাজারে বিদ্যমান। তাই তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের সতর্কতার সাথে লেনদেন সম্পন্ন করার আহবান জানান। কারণ নিয়মকানুন সঠিকভাবে প্রতিপালন করলে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও অটুট থাকে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির প্রধান সৈয়দ আল আমিন রহমান।

 

Share
নিউজটি ১৪ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged