তালিকাভুক্ত কোম্পানি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), প্রাথমিক গণপ্রস্তাবসহ (আইপিও) সার্বিক বিষয়ে গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণের পাশাপাশি এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নতুন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ (বিএসইসি)। গ্রাহক অভিযোগ নিষ্পত্তি পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয় করা এবং একই সময়ে প্রাপ্ত অভিযোগের ডাটাবেজ তৈরির জন্য একটি মডিউল তৈরি করা হবে। এই মডিউলের শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছেÑ ‘কাস্টমার কমপ্লেয়েন্ট অ্যাড্রেস মডিউল’ (সিসিএএম)। এ মডিউল তৈরির পর কীভাবে তা ব্যবহার করতে হবেÑ সে বিষয়ে ধারণার অংশ হিসাবে সকল বিনিয়োগকারীকে বিতরণের জন্য এর একটি লিফলেট বাংলা ও ইংরেজিতে প্রস্তুত করা হবে। যা ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বিএসইসি’র এসআরআই বিভাগ তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য অভিযোগ তদারকি করে। আর এসআরএমআইসি বিভাগ তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তদারকি করে। বর্তমানে এসব অভিযোগ ম্যানুয়ালি দাখিল করা হয়ে থাকে।
ইতোমধ্যে ‘সিসিএএম’ নিয়ে কমিশনের এসআরআই বিভাগ চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- বিএসইসি’র অনলাইন অভিযোগ জমা প্লাটফর্ম পুনর্নির্মাণ করা হবে। যাতে অভিযোগকারীকে অভিযোগ জমা দেয়ার আগে তার নাম, ঠিকানা, ইমেইল, মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। এ মডিউলে অভিযোগ বিস্তারিত লেখার সুযোগ থাকবে এবং একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
অভিযোগ জমা দেয়ার পরে অভিযোগকারীকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তি স্বীকার করে ই-মেইল পাঠানো হবে। তাতে অভিযোগের একটি আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার থাকবে। ডিএসই ট্রেকহোল্ডার, সিএসই ট্রেকহোল্ডার ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো যথাযথভাবে ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএল-এ যাতে অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি করার জন্য একটি কাট-অব-ডেট বা প্রান্তসীমা তারিখ থাকবে।
কোম্পানি বা ইস্যুয়ারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিএসইসি’র এসআরএমআইসি বিভাগে পাঠানো হবে। অভিযোগ নির্ধারিত কাট-অব তারিখের মধ্যে নিষ্পত্তি না করা হলে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাগাদা সূচক চিঠি প্রেরণ করবে। সিসিএএম সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত ম্যানুয়ালি প্রাপ্ত অভিযোগ স্ক্যান করে সিস্টেমে আপলোড করা হবে। এই মডিউলের মাধ্যমে একজন অভিযোগকারী অভিযোগ নাম্বার প্রদান করে তার অভিযোগের অবস্থা জানতে চাইতে পারেন। এ বিষয়ে এসআরআই বিভাগ উত্তর পাঠাবে।
এ মডিউলে আপিলের বিধান থাকবে। কোনো অভিযোগকারী অভিযোগের ফলাফলে সন্তুষ্ট না হলে তিনি পর্যালোচনার জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন। শুধু যাদের কাছে অভিযোগ নম্বর রয়েছে, তারাই কেবল এই আপিল করতে পারবেন। মডিউলে একটি ডাটাবেজ থাকবে এবং অভিযোগ পরিচালনার সঙ্গে সম্পর্কিত সব তথ্য ডাটাবেজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণ করা হবে। এই মডিউলের ডাটাবেজে তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থা থাকবে, যা সুপারভিশনের কাজে ব্যবহার করা যাবে।
চালু হচ্ছে অন-লাইনে গ্রাহক অভিযোগ সেল : বিএসইসি’র একটি ভালো উদ্যোগ
সময়: মঙ্গলবার, আগস্ট ২০, ২০১৯ ৪:৪১:১০ পূর্বাহ্ণ