নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রাহক, রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হচ্ছে। জুলাই মাসে এ ব্যবস্থায় ৬০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে। ২০২০ সালের জুলাই মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ২৫ লাখ ৭৩ হাজারে। যা তার আগের মাস মের চেয়ে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
জানা গেছে, টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় হিসাব বলে গণ্য করে থাকে এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব বলছে, লেনদেনের পরিমাণ আগের মাসের (জুন) তুলনায় ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৮ শতাংশ বেশি। প্রায় এক দশক আগে চালু হওয়া মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লেনদেন ৫০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। এর আগে সর্বোচ্চ ৪৭ হাজার ৬০১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে চলতি বছরের মে মাসে।
এ প্রসঙ্গে দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেন, এটি সম্ভব হয়েছে এমএফএস সেবাদানকারী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। গত কয়েক মাস ধরে বিশ্বজুড়ে চলা মন্দা থেকে অর্থনীতি ধীরে ধীরে যে পুনরুদ্ধার হচ্ছে, তার ইঙ্গিত দেয় এমএফএসর মাধ্যমে বিপুল লেনদেন। মানুষ আগের চেয়ে এখন ঘরে বসে ব্যাংকিং করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ফলে এমএফএসর বন্ধ থাকা হিসাব চালুর সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় জুলাই শেষে ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান