ডিএসইর মৃত দুই পরিচালককে বিএসইসির তলব

সময়: বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ ৫:৫৮:০৬ অপরাহ্ণ


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : মারা যাওয়ার দুই বছর পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক দুই পরিচালককে তলব করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মৃত এই দুই ব্যক্তি হলেন- রকিবুর রহমান ও হাবিবুল্লাহ বাহার।

গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. সুলতান সালাহ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক শোকজ চিঠি ডিএসইতে পাঠানো হয়েছে।

শোকজে মো. ইউনুসুর রহমানের নেতৃত্বাধীন পর্ষদের ২০২১ সালের ২৮ জুন ও ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় অংশগ্রহণ করা ১২ জন পরিচালককে তলব করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০২২ সালের ১৮ মার্চ মৃত্যুবরণ করা রকিবুর রহমান ও একই বছরের ৯ আগস্ট মারা যাওয়া হাবিবুল্লাহ বাহার রয়েছেন।

বিনিয়োগকারীদের জন্য সুরক্ষা ফান্ড সংগ্রহ ও ব্যবহার নিয়ে সিকিউরিটিজ আইনের ব্যত্যয় হয়েছে বলে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর গঠিত এক তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ডিএসই কর্তৃপক্ষ ফান্ড যেমন সঠিকভাবে সংগ্রহ করেনি, একইভাবে তার ব্যবহার নিয়েও তদন্ত রিপোর্টে প্রশ্ন উঠেছে।

এ কারণে আগামী ২৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় বিএসইসিতে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে। যেখানে ডিএসইর প্রয়াত ২ পরিচালক রকিবুর রহমান ও হাবিবুল্লাহ বাহারের নামও রয়েছে।

মৃত মানুষকে বিএসইসির তলবে ডাকাকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলছেন ডিএসইর এক পরিচালক। তিনি বলেন, হাবিবুল্লাহ বাহার ও রকিবুর রহমান যে মারা গেছেন, এটা সবাই জানে। দেশের সব গণমাধ্যমেও তাদের মারা যাওয়ার খবর এসেছে। এই অবস্থায় বিএসইসি তাদের তলব করেছে। যে মানুষ মারা গেছে, সে কিভাবে শুনানিতে হাজির হবে। এই তলবের মাধ্যমে বিএসইসি খুবই অপেশাগত কাজ করেছে এবং অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএসইসি একটি তদন্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিগত পর্ষদকে তলব করেছে। এক্ষেত্রে বিএসইসি কর্তৃপক্ষ ডিএসইর তদন্ত রিপোর্টটি হুবুহু তুলে ধরে তলব করেছে। অথচ সবার আগে রিপোর্টটি কতটা সঠিক, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা দরকার ছিল।

যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, তারা দুজন মৃত এটি আমরাও (বিএসইসি) জানি। জেনেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। নিয়ম ফলো করার জন্য এটা করা হয়েছে। এখানে বিএসইসির কোনো ভুল নেই। শুনানির দিনে তাদের নাম বাদ পড়ে যাবে।

Share
নিউজটি ২৮ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged