টাঙ্গাইলের সখীপুরে এবার ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরোর আবাদ হয়েছে। একযোগে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ব্যাপকহারে ধান কাটা শুরু হয়েছে। একদিকে ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ অপরদিকে শ্রমিক সংকট ও ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক।
চরা দামে বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক দিয়ে ধান চাষ করে কাটার পর প্রতিমণ ধানে কৃষকের খরচ পড়েছে প্রায় হাজার টাকা। সেখানে বর্তমানে বাজারে কৃষকদের ধানের দাম প্রকার ভেদে ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
মৌসুমের শুরুতেই ধানের বাজারে ধস নামায় হতাশায় ভুগছেন চাষিরা। ভাল ফলনে খুশি হলেও বিক্রি করতে গিয়ে চাষিদের যেন মাথায় হাত। বাজারে পাইকার না থাকায় ধান কেনা বেচা তেমন হচ্ছে না। ফলে উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। পাকা ধান কাটতে প্রতিদিনই শ্রমিক সংকটে পড়ছেন চাষিরা। ৪৫০ টাকা থেকে শুরু করে বর্তমান বাজারে প্রতিজন শ্রমিকের মজুরি হাঁকচ্ছেন ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা। বর্তমান বাজার মূল্যে দেড় মণ ধান বিক্রি করে ১জন শ্রমিকের মজুরির টাকা জোগাড় করতে হচ্ছে চাষিদের। তাদের দাবি সরকার ধানের দাম না বাড়ালে কৃষকদের ব্যাপক লোকসান গুনতে হবে।
উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের পলাশ হোসেন, আয়েন উদ্দীন, সিরাজুল ইসলাম, নলুয়া গ্রামের জাফর, সানোয়ার হোসেন, জিয়ার রহমান, রমজান আলীসহ অনেক কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, বাজারে ধানের দাম নেই অন্যদিকে শ্রমিক না পাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছি আমরা। ১ বিঘা জমিতে পানি, সার, আরো অন্যান্য খরচ দিয়ে ৯’শ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। আর ধান বেচতে গেলে দাম পাচ্ছিনা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বোরো মৌসুমে একযোগে সারাদেশে ধান কাটা শুরু হওয়ায় এসময় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এছাড়া ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ, ধানের বাজার কম ও শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষকদের এবার লাভ তো দূরের কথা ব্যাপক লোকসানের কবলে পড়তে হবে।