নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ‘কাট্টালি টেক্সটাইল’-এর আইপিও তহবিল ব্যবহারের তথ্য যাচাই না করেই প্রত্যয়ন করায় নিরীক্ষক ফার্মকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, প্রথমে নিরীক্ষক ফার্ম ‘আহমদ অ্যান্ড আখতার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস’-কে ৭ কার্যদিবস সময় দিয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন। তবে নিরীক্ষা ফার্মটি এ নির্দেশনা না মেনে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় চেয়ে আবেদন করে। পরে কমিশন এ আবেদন না-মঞ্জুর করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়েছে। এ নির্দেশনা না মানলে নিরীক্ষক ফার্মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি।
বিষয়টি নিয়ে বিএসইসি সূত্র বলছে, নিরীক্ষক ফার্মটিকে ৭ কার্যদিবস সময় দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ নির্দেশনা মানেনি। বরং তারা আরও সময় চেয়ে আবেদন করে। বিএসইসি সেই আবেদন না-মঞ্জুর করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে কাট্টালি টেক্সটাইলের আইপিও তহবিল ব্যবহারের তথ্যে গরমিল পায় বিএসইসি। কোম্পানিটি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইপিও তহবিল থেকে ৬০ লাখ টাকা ব্যয় করার তথ্য প্রকাশ করে। তবে প্রকৃতপক্ষে ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব থেকে এ ধরনের কোনো লেনদেন হয়নি।
প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে কাট্টলি টেক্সটাইল আইপিও তহবিলের ৩৪ কোটি থেকে ৫ কোটি ৫১ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আর অবশিষ্ট রয়েছে ২৮ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
বিএসইসি সূত্র বলছে, কোম্পানিটি চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সিএসএন হোল্ডিংসের অনুকূলে ৬০ লাখ টাকার ডিমান্ড ড্রাফট/ ক্যাশ ক্রেডিট ইস্যু করে। ওই কোম্পানিটির ব্যাংক ব্যালান্স ছিল ২৫ কোটি ৪০ লাখ ১৩ হাজার ৯০৯ টাকা। বিষয়টি নিরীক্ষা ফার্ম আহমদ অ্যান্ড আখতার যাচাই বাচাই না করে প্রত্যয়ন করে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছ থেকে কোম্পানিটির ব্যাংক লেনদেনের বিবরণী সংগ্রহ করে বিএসইসি দেখতে পায়, এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি এ ধরনের কোনো লেনদেন হয়নি এবং নিরীক্ষকের প্রত্যয়ন করার ব্যালান্স সত্য নয়।
এদিকে, কোম্পানিটির মোট রিজার্ভ রয়েছে ৫৯ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। স্বল্পমেয়াদে ঋণ রয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আর দীর্ঘমেয়াদে ঋণ রয়েছে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ শুপারিশ করে। গত ৯ মাসে (জুলাই ’১৮-মার্চ ’১৯) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৮১ পয়সা। আর ৩ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২৮ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানির এনএভি হয়েছে ১৭ টাকা ৫১ পয়সা।
‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১০ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের কাছে রয়েছে দশমিক ০৬ শতাংশ এবং ৫৯ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান
![](https://dailysharebazarprotidin.com/wp-content/uploads/2019/10/kattoli-and-bsec.jpg)
কাট্টালি টেক্সটাইলের আইপিও তহবিল ব্যবহারের হিসাবে গরমিল
নিরীক্ষক ‘আহমদ অ্যান্ড আখতার’ ফার্মের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি
সময়: মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০১৯ ৯:০৯:১৯ পূর্বাহ্ণ