পুঁজিবাজারে আবার পতনের ছোঁয়া লেগেছে। ঈদের আগে ও পরে কয়েক সপ্তাহজুড়ে বাজার মোটামুটি ইতিবাচক ধারায় ছিল। বাজারের গতি ফেরায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও একটু একটু করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। গত সোমবার বাজার পতনে সূচক ও লেনদেন নেমে গেছে এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এ ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলেও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দরে পতন হয়েছে। এমতাবস্থায় আবারও কিছুটা দ্বিধায় পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। পরিস্থিতি যাতে নতুন করে দীর্ঘ মন্দার দিকে মোড় না নেয় সেজন্য পুঁজিবাজার সংস্থা বিএসইসি এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এখনই সতর্ক হতে হবে।
বলাবাহুল্য, দেশের পুঁজিবাজার এখন কোন দিকে যাচ্ছে, নতুন করে কোনো ধস নামবে কি না, কবে বাজার আবার স্বাভাবিক হবেÑ এসব ভাবনায় উদ্বিগ্ন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। একটা কথা প্রায়ই বলা হয় যে, পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন (সূচকের ওঠা-নামা ও শেয়ার দর বাড়া-কমা) স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু এর কোনো একটি প্রবণতা যখন টানা দিনের পর দিন কিংবা মাসের পর মাস চলতে থাকে, তখন আর সেটাকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলার কোনো সুযোগ নেই। অন্যদিকে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বেশির ভাগ কোম্পানিই বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়ে চলছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত। সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে ২৫ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে ১০টি কোম্পানি। এর মধ্যে ৮টি কোম্পানিই হচ্ছে দুর্বল বা ‘জেড’ ক্যাটাগরির।
পুঁজিবাজারে টেকসই স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে গত ২০১০ সালের ধসের পর বেশকিছু নতুন আইন-কানুন প্রণয়ন ও সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা এখনো সে রকম আস্থাশীল হতে পারছেন না। সম্প্রতি বাজেটে পুঁজিবাজারে একাধিক প্রণোদনার সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়েনি।
পুঁজিবাজারে আবার পতনের ছোঁয়া : সতর্ক হওয়া জরুরি
সময়: বুধবার, আগস্ট ২৮, ২০১৯ ৫:৫৪:৫০ পূর্বাহ্ণ