ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় বিশ্বের দুটি শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংক সিটি ব্যাংক অব নিউইয়র্ক এবং হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) ব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে আলাদাভাবে এই সংক্রান্ত দু’টি প্রস্তাব করা হয়েছে।
গত শনিবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকেই অর্থমন্ত্রীর কাছে এ প্রস্তাব দেয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দু’টি ব্যাংক আমাদের ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। আইএফসি যেভাবে টাকা বন্ড ইস্যু করছে, তারাও টাকা বন্ড ইস্যু করতে যাচ্ছে। বিদেশে আমাদের অনেক ঋণ আছে। এগুলো ডলার দিয়ে পরিশোধ করতে হয়। ডলারে পরিশোধ না করে যদি টাকায় পরিশোধ করা হয়, তবে আমাদের জন্য আরোও ভালো হবে।
তিনি বলেন, আমাদের টাকা ডলারের সঙ্গে রিলেটেড। ডলারের সঙ্গে যদি টাকার বিনিময় হার বেশি ওঠানামা করে, তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তারা এটিকে টাকায় কনভার্ট করে দেবে বলে আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। ঋণের ক্ষেত্রে যেগুলো হয়ে গেছে সেগুলো টাকায় কনভার্ট করে দেবে। তাদের বাংলাদেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা এগুলো দেখবে। যেটা আমাদের জন্য ভালো সেটাই আমরা গ্রহণ করবো।
‘এইচএসবিসি বন্ড ইস্যু করতে চেয়েছে। এইচএসবিসি মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় সুকুব বন্ড ইস্যু করতে চায়। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ও পাবলিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু নাই। তবে সেটা বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতে চালু রয়েছে। এই জন্য তাদের প্রস্তাবনা নিয়েছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেব। এটা কতটুকুু পারবো আমরা জানি না।’
তিনি আরও বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকা বেশি ওঠানামা করলে লস। পৃথিবীর অর্থনীতি সব সময় এক থাকে না। কখন কী অবস্থায় থাকবে আমরা জানি না। সেই জন্য একটা সমন্বয় ঘটাতে হবে। তারা এসবের মডেল তুলে ধরবে। এটা বেনিফিট হলে আমরা গ্রহণ করবো।
‘বৈদেশিক উৎস থেকে নেয়া ঋণগুলো এখন থেকে টাকায় পরিশোধের জন্য প্রস্তাব এসেছে। এক্ষেত্রে এই দু’টি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করার প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেননা ডলারের বিপরীতে টাকার মান সবসময় ওঠানামা করে। এক্ষেত্রে টাকার মূল্যমান নির্দিষ্ট রেখে ডলারের বিপরীতে নেয়া ঋণ বাংলাদেশি টাকায় পরিশোধ করা হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে,’ যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকে যার সঙ্গেই কথা বলেছি, সবাই বলেছে, বাংলাদেশ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি। বাংলাদেশ সঠিক পথে আছে। একটি মানুষও বলেনি বাংলাদেশ খারাপ পথে আছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বিল্ডিংয়ে সবাই ভালো বলেছে। সবাই লাইন দিয়ে আমাদের কথা শুনেছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য দ্বন্দ্ব চলা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান
![](https://dailysharebazarprotidin.com/wp-content/uploads/2019/10/16-FM-2-ok.jpg)
পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগে আগ্রহী সিটি-এইচএসবিসি ব্যাংক
সময়: সোমবার, অক্টোবর ২১, ২০১৯ ৯:৪৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ