প্লেসমেন্ট শেয়ারে লক-ইন দুই বছর

সময়: বুধবার, জুলাই ১৭, ২০১৯ ৬:০৯:৩১ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : পাবলিক ইস্যু রুল্্সের চূড়ান্ত সংশোধনীতে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের শেয়ারে লক-ইন পিরিয়ড বা নিষেধাজ্ঞার সময় দুই বছর নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরুর দিন থেকে এ লক-ইন পিরিয়ড গণনা শুরু হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির ৬৯৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগে প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ প্রকাশের দিন থেকে লক ইন পিরিয়ড গননা শুরু হতো।
জানা গেছে, প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর পরে আইপিও অনুমোদনে চার বছরের বেশি সময় লেগে গেলে ওই কোম্পানির ক্ষেত্রে এক বছর লক-ইন পিরিয়ড করা হয়েছে।
সংশোধনীর চূড়ান্ত অনুমোদনে বলা হয়েছে, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক এবং ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি শেয়ারহোল্ডারদের ওপর লক-ইন তিন বছর হবে। আর কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক এবং ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি শেয়ারহোল্ডারদের হস্তান্তরকৃত শেয়ারের ওপর লক-ইন তিন বছর হবে। চার বছর বা তার আগে শেয়ার বন্টনের মাধ্যমে প্রাপ্ত শেয়ারের ওপর লক-ইন এক বছর হবে। অলটারনেটিভ ফান্ড কর্তৃক ধারণকৃত শেয়ারের ওপর লক-ইন এক বছর হবে। এছাড়া অন্যান্য শেয়ারের (প্লেসমেন্ট) ক্ষেত্রে শেয়ারের লক-ইন দুই বছর হবে।
গত ২৯ এপ্রিল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এক বৈঠকে যেসব কোম্পানি আইপিওতে আসছে তাদের শেয়ারে তিন বছর লক-ইন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএসইসি।
এদিকে চলতি বছরের শুরুর দিকে বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করা অবস্থায় ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাজারে তারল্য সংকট তীব্র হচ্ছে। এই প্লেসমেন্ট শেয়ার বাজার স্থিতিশীলতার অন্তরায়।
একইসঙ্গে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের দাবির মুখে পরবর্তীতে সব প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা শেয়ারের ওপর তিন বছর লক-ইন বা বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিএসইসিকে প্রস্তাব জানায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এরপরই নড়েচড়ে বসে কমিশন। পরবর্তীতে নানা কারণে পাবলিক ইস্যু রুল্্স- ২০১৫ সংশোধন করার উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। এই পাবলিক ইস্যু রুল্্স সংশোধনীর মধ্যেই প্লেসমেন্ট শেয়ারের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৫৮৮ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged