নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংক লিমিটেড মূলধন বৃদ্ধির জন্য বে-মেয়াদী বন্ড ছেড়ে ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। শেয়ারে অ-রূপান্তরযোগ্য (ঘড়হ-ঈড়হাবৎঃরনষব) বন্ডকে রূপান্তরযোগ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
সোমবার (১২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির প্রয়োজন হবে। তাদের মতামত জানতে ব্যাংকটি আগামী ৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ নভেম্বর।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭২৯তম কমিশন সভায় যমুনা ব্যাংকে বে-মেয়াদী জিরোকুপন বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
তখন পর্যন্ত বন্ডটির বৈশিষ্ট্য ছিল- এটি শেয়ারে রূপান্তর অযোগ্য, সুদের হার ভাসমান (ঋষড়ধঃরহম জধঃব) এবং জামানতবিহীন (টহংবপঁৎবফ)। এর কুপন রেট (সুদের হার) হতে পারে ১১ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত। আলোচিত বন্ডের প্রতি ইউনিটের মূল্য এক লাখ টাকা। ন্যুনতম একটি বন্ডে বিনিয়োগ করতে হবে। সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, ব্যাংক- বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, সমবায় সমিতি, সংগঠন, ট্রাস্টসহ যোগ্য বিনিয়োগকারীরা এই বন্ড কিনতে পারবে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ড বরাদ্দ দেওয়া হবে।
ব্যাংকের প্রাইমারি রেগুলেটর বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচিত বন্ডের অনুমোদন দেওয়ার সময় এটিকে শেয়ারে রূপান্তরের শর্ত দিয়েছে। তবে ব্যাংকটির সিইটি-১ ক্যাপিটাল ৪.৫ শতাংশের নিচে নামলেই কেবল এই শর্ত প্রযোজ্য হবে। আর ক্যাপিটাল ওই সীমার উপরে থাকলে বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করতে হবে না।
জানা গেছে, যমুনা ব্যাংকের সিইটি-১ ক্যাপিটাল ১৩ শতাংশের কাছাকাছি। তাই ব্যাংকটির জন্য বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করা জরুরি নয়। তবুও রেগুলেটরের শর্ত মেনে বিকল্প রাখার জন্য বন্ডের বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তার জন্য নেওয়া হচ্ছে শেয়ারহোল্ডারদের মতামত।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান