নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিলসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।
গতকাল সোমবার বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে গত ৪ ডিসেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারদের (ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত তহবিলের একটি রূপরেখা অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে মন্দাবস্থায় বিনিয়োগ অনুকূল পরিস্থিতিতেও হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় ব্রোকারেজ হাউস ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে পড়ায় এ প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আলোচিত তহবিলের আকার হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। তহবিলের মেয়াদ হবে ৬ বছর। প্রস্তাবিত সুদের হার ৩ শতাংশ। প্রথম বছর কোনো সুদ দিতে হবে না। দ্বিতীয় বছর থেকে সুদ আরোপ করা হবে। এরপর তৃতীয় বছর থেকে সুদসহ মূল টাকা ৬ মাস পর পর ফেরত দিতে হবে। শুধু সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগের জন্য এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেয়া হবে। এ সুবিধা ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রস্তাবনায় আরো উল্লেখ রয়েছে, এ বছর জানুয়ারি থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক এক হাজার ২৪২ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। শতকরা হিসাবে ২০.৮৭ শতাংশের বেশি সূচক কমে গেছে। আর বাজার মূলধন কমেছে ৬৫ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। নিম্নমুখী এ অবস্থায় গত আগস্ট পর্যন্ত মার্জিন ঋণে নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ ১১ হাজার কোটি টাকা। ক্রমাগত নিম্নমুখী অবস্থায় তারল্য সংকটের কারণে বাজারের স্টেকহোল্ডার স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংক সক্রিয় হতে পারছে না। এ অবস্থায় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট সাপোর্ট ফান্ড ফর ক্যাপিটাল মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিজ’ নামে স্কিমের আওতায় ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড দ্রুত প্রয়োজন।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান