‘বীমা আইন ২০১০’ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ (আইডিআরএ)। এ আইনের ত্রুটিপূর্ণ ও সাংঘর্ষিক ধারাগুলো সংশোধন করা হবে। এ লক্ষ্যে বীমা খাত সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রস্তাবও চাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক ও ‘মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি’ (এমআরএ) আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ধারাগুলো ছাড়াও বীমা আইনের আর কোন্ কোন্ বিষয়ে সংশোধন আনা জরুরি সেগুলো লিখিতভাবে জানাতে বলেছে আইডিআরএ।
প্রসঙ্গত: সম্প্রতি বীমা কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বিদ্যমান বীমা আইনটি পর্যালোচনাপূর্বক সংশোধনের নির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে বীমা আইনের ক্রটিপূর্ণ ও সাংঘর্ষিক ধারাগুলো সংশোধনের জন্য একাধিকবার সুপারিশ করে বীমা উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিআইএ।
জানা যায়, আইনের ত্রুটিপূর্ণ ও সাংঘর্ষিক ধারাগুলো নিয়ে শিগগিরই স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এরপর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠাবে আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগ।
জানা গেছে, বীমা আইনের সাংঘর্ষিক বিধিগুলোর মধ্যে একটি হলো একই সঙ্গে একাধিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ। বীমা আইনের ৭৫নং ধারা অনুযায়ী আপাতত: বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, কোনো বীমা কোম্পানির পরিচালক একই শ্রেণির বীমা ব্যবসার জন্য নিবন্ধীকৃত অন্য কোনো বীমা কোম্পানি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারবেন না।
বীমা খাতের উদ্যোক্তরা বলছেন, বীমা পরিচালকদের ব্যাংক বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ব্যাংক আইনে এ ধরনের বিধি-নিষেধ নেই। তাই ব্যাংক আইনের সঙ্গে বীমা আইনের ৭৫নং ধারাটি সাংঘর্ষিক হওয়ায় এর সংশোধন জরুরি।

বীমা আইন সংশোধনের উদ্যোগ
সময়: শুক্রবার, নভেম্বর ২৯, ২০১৯ ১২:৩৫:২৯ অপরাহ্ণ