বিশেষ প্রতিনিধি : অতিরিক্ত ঋণের আশায় অ-নমনীয় ঋণে অনুদানের পরিমাণ কমালো সরকার। আগে এ ধরনের ঋণে ৬৫ শতাংশ ঋণে ৩৫ শতাংশ অনুদান পাওয়া যেতো। এখন থেকে এক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ ঋণে ২৫ শতাংশ অনুদান পাওয়া যাবে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আমাদের অবস্থা ভালো হয়ে গেছে। আগে নিম্ন আয়ের দেশ ছিলাম, এখন উঁচু জায়গায় পৌঁছালাম। ঋণের মধ্যে অনুদান ৩৫ শতাংশ থাকলে আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পেতাম না। যেহেতু এখন আমরা গ্রাজুয়েট করছি তাই ঋণের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ অনুদানের জায়গায় ২৫ শতাংশ করেছি।’
‘অনুদানটা ৩৫ শতাংশ থাকলে ঋণ পাওয়ায় কোনো সমস্যা হতো কি না’Ñ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঋণ পাওয়ার জন্য কোনো সমস্যা নেই। তবে আমাদের নিজস্ব বিবেচনার জন্য এ কাজটি আমরা করেছি। বিশ্ব ব্যাংক ও অন্যারাও এটা চায়, যেহেতু আমাদের অবস্থা ভালো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগে আমরা অনুদানের পরিমাণটা দেখেই ঋণ নেয়ার বিষয়টি চিন্তা করতাম। কিন্তু এখন আমরা এটা ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করলাম। আর্থিক সক্ষমতা বাড়ার কারণে এটা করা হচ্ছে।’
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, যেসব ঋণে অনুদানের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ, সে সকল ঋণ অ-নমনীয় ঋণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হতে উত্তরণের ফলে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ বাংলাদেশকে দেয়া ঋণের সুদহার বৃদ্ধি করেছে। তারপরও ৩৫ শতাংশ অনুদানের ফলে ঋণসমূহ অনমনীয় হয়ে যাচ্ছে এবং চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বে ‘অনমনীয় ঋণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি’র অনুমোদন প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে সার্বিকভাবে বৈদেশিক ঋণ আহরণের পরিমাণ শ্লথ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান