বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছরেও ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে বিনিয়োগে উচ্চ সুদ, অর্থায়ন সমস্যা, পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য সার্টিফিকেট না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যে কারণে সামনে এগুতে পারছে না ব্যবসা পরিবেশ।
বিশেষত : কাস্টমস অফিসগুলোতে অযথা হয়রানি, দক্ষ জনশক্তি, কর্মসংস্থানের অবস্থা, ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সপ্রাপ্তিতে ধীরগতিসহ নানা চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদে কর্ম কৌশল হাতে নেয়া দরকার।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী এ বছর ১৬৮তম স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। গত বছরে ব্যবস্থা সহজীকরণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৬তম। ১৭ কোটি মানুষের এদেশে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী রয়েছে ৫ কোটির মতো। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে বছরে ২০ লাখের ওপরে মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য বের হয়েও কর্মসংস্থান পাচ্ছে না। কারিগরি ও ট্রেনিং ব্যবস্থায় থাকলে এদের কাজে লাগানো সম্ভব হতো।
ব্যবসা সহজীকরণে সরকারকে কলকারখানাগুলোতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পথ খুঁজতে হবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের অংশ হিসাবে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার বাড়াতে হবে। এ সময়, প্রয়োজনে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, দুর্নীতি, অনৈতিক লেনদেন, পরিবহন খরচসহ যেসব বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ আছে, সেগুলো নিরসন করতে হবে।
ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে পিছিয়ে বাংলাদেশ
সময়: সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০১৯ ১০:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ণ