বিশেষ প্রতিনিধি : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ মারকোসার ভুক্ত দেশসমুহের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত আগামী ডিসেম্বরে। বাংলাদেশ মারকোসার বাণিজ্যজোটভুক্ত ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সাথে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। দেশগুলো নীতিগত ভাবে বাংলাদেশের সাথে এফটিএ করতে সম্মত। দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট মারকোসার ভুক্ত দেশসমুহের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ডিসেম্বরে, এ সম্মেলনে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষরের প্রস্তাব উত্তাপন করা হবে। সদস্যভুক্ত দেশগুলো একমত হলে এফটিএ স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে।
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ মার্কোসাভুক্ত দেশসমুহ (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে) সফর শেষে দেশে ফিরে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) মাধ্যমে উল্লিখিত শুল্ক হার হ্রাস করলে এ অঞ্চলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ টেক্সটাইল, ওষুধ, তামাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, টেবিলওয়্যার প্রভৃতি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
এ সফরে চারটি দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে ১৭টি আলোচনা সভা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের উপর তাদের আগ্রহ বেড়েছে। বিজিএমইএ ও ব্রাজিলের সর্ববৃহৎ ব্যবসা সংগঠন সাঁও পাওলো চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিজিএমই-এর উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আগামী নভেম্বর মাসে ব্রাজিলে একটি সিঙ্গেল কান্ট্রি আরএমজি এক্সিবিশন এন্ড ফ্যাশন শো- এর আয়োজন করা হবে।
টিপু মুন্শি বলেন, বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানির উপর ব্রাজিল ১৯৯২ সালে এন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করে। বাংলাদেশের অনুরোধে তা প্রত্যাহার করার আশ্বস্ত দেয়া হয়েছে। ব্রাজিলের বাণিজ্যিক রাজধানী সাঁও পাওলোতে একটি কনসাল জেনারেল অফিস স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
দৈনিক শেয়াাবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান