নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টি কোম্পানি রয়েছে, যাদের রিজার্ভ পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, এসব কোম্পানির শক্তিশালী রিজার্ভ তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্লেষকদের মতে, মূলধনের তুলনায় উচ্চ রিজার্ভ এসব কোম্পানিকে ভবিষ্যতের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে, তালিকাভুক্ত ৭টি কোম্পানির রিজার্ভ মূলধনের তুলনায় কম এবং ২টি কোম্পানির রিজার্ভ নেগেটিভ, যা বিনিয়োগ ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
মূলধনের তুলনায় বেশি রিজার্ভধারী ১৪টি কোম্পানি হলো—
ঢাকা ইলেকট্রিক, ডরিন পাওয়ার, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, যমুনা অয়েল কোম্পানি, লিন্ডে বাংলাদেশ, লুবরেফ বাংলাদেশ, এমজেএল বাংলাদেশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল, শাহজীবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
এই তথ্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, বিশেষ করে যারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের কথা ভাবছেন।
ডরিন পাওয়ার : ডরিন পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ৬৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
ঢাকা ইলেকট্রনিক : ঢাকা ইলেকট্রনিকের পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ১১০৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন : এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের পরিশোধিত মূলধন ১৯০ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ৩২৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস : ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
যমুনা অয়েল কোম্পানি : যমুনা অয়েল কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ২৪৫৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
লিন্ডে বিডি : লিন্ডে বিডির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ৫৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।
লুবরেফ বাংলাদেশ : লুবরেফ বাংলাদেশের পরিশোধিত মূলধন ১৪৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ২৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এমজেএল বাংলাদেশ : এমজেএল বাংলাদেশের পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ১০০২ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
পদ্মা অয়েল : পদ্মা অয়েলের পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ২১৭৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম : মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ২৪১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
শাহজীবাজার পাওয়ার : শাহজীবাজার পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধন ১৮৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ৪২৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
সামিট পাওয়ার : সামিট পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধন ১০৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ২৫৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন : ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের পরিশোধিত মূলধন ৫৭৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ২৬৪৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
তিতাস গ্যাস : তিতাস গ্যাসের পরিশোধিত মূলধন ৯৮৯ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ৮ হাজার ৩৬৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।