নিজস্ব প্রতিবেদক : চাহিদার চেয়ে যোগ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আবেদন পড়েছে ১০ গুণ বেশি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের জন্য অনুমোদন দেয়।এরপর কোম্পানিটি আইপিওতে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। যা শেষ হয় ২৩ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এই আবেদন এলিজেবল ইনভেস্টর অর্থাৎ যোগ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪০ শতাংশ শেয়ার। যা শেয়ারের সংখ্যায় দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০টি। টাকার অংকে যা হচ্ছে ১৫৫ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬০০ টাকার।
বরির এই শেয়ার পেতে ৬২১টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার আবেদন জমা দিয়েছে। যা বরাদ্দের বিপরীতের চেয়ে ১০২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ অর্থাৎ ১০ গুণ বেশি।
উল্লেখ্য, ১০ টাকায় অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করছে রবি আজিয়াটা। যা পুঁজিবাজারের এইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্থ সংগ্রহকারী কোম্পানি।
রবির নতুন শেয়ারের মধ্যে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করা হবে বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকি ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য।
কোম্পানির তথ্য মতে, ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার হয়েছে ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র ৪ পয়সা।
আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান