নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংস্কার। এই সংস্কারের কাজ একা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। সেজন্য সবার মতামত নেয়া হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে আইন ও নিয়মের মধ্যে থেকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এই সংস্কার সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) চট্টগ্রামে সিএসই’র কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির নতুন পর্ষদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)’র পক্ষ হতে একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করা হয়। এতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এর বর্তমান অবকাঠামো, জনবল, ক্রিয়াকলাপসহ বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যত সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ, করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
এ পর্যায়ে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান বলেন, সবার স্বপ্ন শেয়ারবাজার হবে দেশের অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু এবং একই সাথে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের উৎস। এই লক্ষ্যে একটি সমৃদ্ধ ও সফল শেয়াবাজার গড়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র সাথে সাথে শেয়ারবাজারের সাথে জড়িত সকল অংশীজনদের মিলেমিশে অনেক কাজ করতে হবে। শেয়ারবাজারের যে সমস্যাগুলো বিদ্যমান আছে, সেগুলো সমাধান করতে হবে, যা হয়তো দ্রুত সম্ভব নয়।
এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এর ট্রেক হোল্ডার কোম্পানীসমূহ এবং স্থানীয় অংশীজনদের সাথে বিএসইসি’র পৃথক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ট্রেক হোল্ডার কোম্পানীসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ বিএসইসি’র নিকট তাদের বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন এবং আগামীতে দেশে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ শেয়ারবাজারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাজারে সুশাসন নিশ্চিতকরণ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে করণীয়, পাবলিক ইস্যু ও মার্জিন রুলের সংস্কারসহ শেয়ারবাজারের বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব আলোচনায় উঠে আসে। এসময় বিএসইসি’র চেয়ারম্যানসহ কমিশন প্রস্তাবসমূহ মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সার্বিক বিবেচনাপূর্বক সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।
সভায় বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, কমিশনার মোঃ আলী আকবর, কমিশনার ফারজানা লালারুখ, কর্মকার্তাবৃন্দ এবং সিএসইর নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে গঠিত নতুন বোর্ড সদস্যগণ, সিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার ও সিএসই’র শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।