আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না-করলেও সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ (বিএসইসি)। গত বৃহস্পতিবার বিএসইসি’র বৈঠকে শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে ঠিক কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবেÑ সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে বাজার সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশাÑ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
প্রসঙ্গত: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানির ‘অস্বাভাবিক’ লেনদেন এবং স্টক এক্সচেঞ্জে ‘অস্বাভাবিক’ ট্রেড ভলিউম খতিয়ে দেখতে গত ২১ জুলাই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিএসইসি।
বিএসইসি জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে অনিয়ম হয়েছে। আর এর সঙ্গে জড়িত ছিল দুই প্রতিষ্ঠান ও ৮ ব্যক্তি। এরা হচ্ছেÑ ‘বিঅ্যান্ডবিএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’ ও লুৎফুল গনি টিটোর মালিকানাধীন ‘সাত রং এগ্রো ফিশারিজ’; বিশ্বজিৎ দাস ও তার স্ত্রী, কাজী মো. শাহাদাত হোসাইন, মো. সাইফ উল্লাহ, হোসাম মো. সিরাজ, এএসএস আহসান হাবিব চৌধুরী, মো. লুৎফুল গনি টিটো ও তার স্ত্রী।
এছাড়া ‘মুুন্নু সিরামিক’-কে স্পট মার্কেটে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।
বিএসইসি জানায়, জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংস্থার এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে বলা হয়েছে। ‘মুন্নু ওয়েলফেয়ার’ কর্তৃক ধারণকৃত ‘মুন্নু সিরামিকস’ এবং ‘মুন্নু স্টাফলার্স’-এর শেয়ারের ওপর আইনগত কোনো ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত তা ফ্রিজ (শেয়ার ক্রয়/ বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর) থাকবে। এছাড়া বিশ্বজিৎ দাস ও তার স্ত্রী, কাজী মো. শাহাদাত হোসাইন, বিঅ্যান্ডবিএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মো. সাইফ উল্লাহ, হোসাম মো. সিরাজ, এএসএস আহসান হাবিব চৌধুরী, মো. লুৎফুল গনি টিটো ও তার স্ত্রী এবং তার মালিকানাধীন সাত রং এগ্রো ফিশারিজের তহবিল (বিও হিসাব) থেকে অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর এবং লিংক হিসাবের মাধ্যমে শেয়ার হস্তান্তর বন্ধ থাকবে।