পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির লেনদেনের প্রথম দিনেই শেয়ার দরে হ্রাস-বৃদ্ধির সীমা (সার্কিট ব্রেকার) চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সিদ্ধান্তটি নিয়ে কেউ কেউ আপত্তি করলেও তা সময়োপযাগী বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
দেখা যায়, লেনদেনের প্রথম দিকে নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ারের উচ্চমূল্য থাকায় এনআরবি কোটাসহ আইপিও লটারি বিজয়ী বিনিয়োগকারীরা বেশি দরে শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি পরবর্তীতে প্রথম দিনের উচ্চ মূল্য ধরে রাখতে পারে না। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও সূচকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। একই সঙ্গে বাজার স্বাভাবিক গতি হারায়। এমতাবস্থায় ডিএসই’র প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের শুরুর দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকারের আওতায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
প্রথম দিন ইস্যু মূল্যে ৫০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দিন (লেনদেনকৃত শেয়ারের রেফারেন্স মূল্য/ বিগত দিনের সমাপ্ত মূল্যের/ সমন্বিত প্রারম্ভিক মূল্য) ওপর ৫০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। লেনদেনের তৃতীয় কার্যদিবস থেকে স্বাভাবিক হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ একটি ১০ টাকার শেয়ার লেনদেনের প্রথমদিন সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বা ৫ টাকা বেড়ে ১৫ টাকা হতে পারবে। আর ২য় দিন ওই ১৫ টাকার উপরে ৫০ শতাংশ বা ৭ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে ২২ টাকা ৫০ পয়সা হতে পারবে। ফলে আগামীতে ১০ টাকার শেয়ার লেনদেনের প্রথমদিনে অযৌক্তিকভাবে ৭০ থেকে ১০০ টাকা হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
লেনদেনের প্রথম দিনেই সার্কিট ব্রেকার
সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি
সময়: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৭, ২০১৯ ৫:৪৪:২৮ অপরাহ্ণ