নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার কৌশল ঠিক করতে ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত রোববার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একদিনের মধ্যে এই কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন গভর্নর ফজলে কবিরকে।
পরে ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ্ আল মাসুদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ার এবং এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন।
কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংক ঋণের সুদহার কমানোর প্রক্রিয়ার বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটি চাইলে সদস্য সংখ্যাও বাড়াতে পারবে, এমন এখতিয়ার তাদের দেয়া হয়েছে। কীভাবে সুদের হার কমানো হবে, তার কৌশল ঠিক করে কমিটিকে সাত দিন সময় দেয়ার কথাও অর্থমন্ত্রী বলে দিয়েছিলেন।
বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ ও আমানতের উপর প্রদেয় সুদের হার ৬ শতাংশ নির্ধারণের জন্য ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাগণ অনেক দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিকবার এবিষয়ে নির্দেশনা দেন। গত অগাস্টে ঋণ ও আমানতের সুদহার যথাক্রমে ৯ ও ৬ শতাংশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে তাগিদ দেয়া হলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
ব্যাংকগুলো এখন ছয় থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ শতাংশ পর্যন্ত সুদে আমানত সংগ্রহ করছে এবং ঋণের শ্রেণিভেদে সাড়ে ৯ হতে সাড়ে ২০ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করছে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে খেলাপি ঋণ কমানোর ঘোষণা দিলেও তা না কমে উল্টো বেড়ে যাওয়ায় মুস্তফা কামাল মনে করছেন, সুদহার কমালে মন্দ ঋণ স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান