নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো- ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), বিএসআরএম স্টিল, বিএসআরএম লিমিটেড, আজিজ পাইপস, এডিএন টেলিকম, এএমসিএল (প্রাণ), জিপিএইচ ইস্পাত এবং রংপুর ফাউন্ড্রি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) : ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে করেছে।
আলোচ্য সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯)কোম্পানিটির কনসলিডেটেড শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২০ পয়সা।
ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর,১৯) কোম্পানির কনসলিডেটেড শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময় আয় ছিল ৫৭ পয়সা।
আজিজ পাইপস : আজিজ পাইপসের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আলোচ্য সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ১৮ পয়সা।
ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর,১৯) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২১ পয়সা । আগের বছর একই সময় ছিল ২৯ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (ঋণাত্মক) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২৩ পয়সা ।
বিএসআরএম : বিএসআরএম এর দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আলোচ্য সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯) কোম্পানিটির কনসলিডেটেড শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা।
ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর,১৯) কোম্পানির কনসলিডেটেড শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫৩ পয়সা । আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৬১ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ শেষে কোম্পানির কনসলিডেটেড শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ৫৪ পয়সা ।
বিএসআরএম স্টিল : বিএসআরএম স্টিল লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আলোচ্য সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯)কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮৮ পয়সা।
ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর,১৯) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ১০ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)হয় ৫৫ টাকা ৩১ পয়সা।
রংপুর ফাউন্ড্রি : রংপুর ফাউন্ড্রির শেয়্রাপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ০.৪৬ শতাংশ কমেছে। আগের বছরের একই সময়ে চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৯) এই মুনাফা কমেছে। চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২.১৮ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২.১৯ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস কমেছে ০.০১ টাকা বা ০.৪৬ শতাংশ।
এদিকে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ৩ মাসে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ১.০৬ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১.০৫ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ০.০১ টাকা বা ১ শতাংশ।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬.৮০ টাকায়।
এডিএন টেলিকম : এডিএন টেলিকমের শেয়্রাপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। আগের বছরের একই সময়ে চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৯) এই মুনাফা বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১.২৩ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০.৮৬ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ০.৩৭ টাকা বা ৪৩ শতাংশ।
এদিকে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ৩ মাসে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ০.৬২ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০.৩৮ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ০.২৪ টাকা বা ৬৩ শতাংশ।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩.৮৪ টাকায়।
এএমসিএল (প্রাণ) : এএমসিএলের (প্রাণ) শেয়্রাপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ১ শতাংশ বেড়েছে। আগের বছরের একই সময়ে চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৯) এই মুনাফা বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪.২৪ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৪.২১ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ০.০৩ টাকা বা ১ শতাংশ।
এদিকে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ৩ মাসে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ২.১৩ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১.৭৮ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ০.৩৫ টাকা বা ২০ শতাংশ।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮০.৫৩ টাকায়।
জিপিএইচ ইস্পাত : জিপিএইচ ইস্পাতের শেয়্রাপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ২ শতাংশ কমেছে। আগের বছরের একই সময়ে চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৯) এই মুনাফা কমেছে। চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.৮৬ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০.৮৮ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস কমেছে ০.০২ টাকা বা ২ শতাংশ।
এদিকে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ৩ মাসে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ০.৪৩ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস
হয়েছিল ০.৪২ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ০.০১ টাকা বা ২ শতাংশ।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭.০৯ টাকায়।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান