সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন নির্দেশনা জারি

সময়: মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ ১:২৪:৩১ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার উন্নয়নের জন্য নিস্ক্রিয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে করেছে বিএসইসি।

নির্দেশনা অনুযায়ী, সম্পদ ব্যবস্থাপকরা যদি এক বছরের মধ্যে অন্তত একটি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা লাইসেন্স হারাবেন।

তবে নতুন লাাইসেন্সপ্রাপ্তদের লাইসেন্স পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে প্রথম তহবিল বাজারে আনতে হবে।

বিএসইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, এই নির্দেশনা মানতে ব্যর্থ হলে সম্পদ ব্যবস্থাপকদের আইপিও শেয়ারে কোটা সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে। তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে লাইসেন্স বাতিল করবে কমিশন।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, কমিশন ২৭টি নিষ্ক্রিয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিকে চিহ্নিত করেছে। যে কোম্পানিগুলি বর্তমানে শেয়ারবাজারে প্রাথমিক পাবলিক অফার (আইপিও) এবং যোগ্য বিনিয়োগকারী অফারগুলিতে (কিউআইও) কোটা সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু শেয়ারবাজার উন্নয়নে কোনো ভূমিকা পালন করছে না।

বিএসইসি এই পর্যন্ত ৬৪টি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিকে লাইসেন্স দিয়েছে। যার মধ্যে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান ওপেন-এন্ড এবং ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করে থাকে।

বাংলাদেশে বর্তমানে মাত্র ৩৭টি ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৮৭টি ওপেন-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। যেগুলোর বাজার মূল্য ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

স্টক এক্সচেঞ্জে ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড সক্রিয়ভাবে লেনদেন হলেও ওপেন-এন্ড ফান্ড ট্রেডিংয়ের জন্য যোগ্য নয়।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক দশকে বিনিয়োগকারীদের উল্লেখযোগ্য রিটার্ন দেওয়ার ব্যর্থতার কারণে বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করার চ্যালেঞ্জে রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড শিল্প।

তারল্য সংকট, অপর্যাপ্ত দক্ষ কর্মী ও নেতৃত্ব এবং সদিচ্ছার অভাবের কারণে এই আস্থার অবনতি ঘটছে। উপরন্তু, সম্পদ পরিচালকদের তহবিল আত্মসাতের ঘটনা বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে আরও নষ্ট করেছে।

বিএসইসি’র অনুসন্ধানে দেখা যায় , অ্যালায়েন্স অ্যাসেট প্রায় ৪৫ কোটি টাকা এবং ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনস ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া, কিছু কোম্পানি তহবিল সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এখন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, মিউচুয়াল ফান্ডের ইস্যুকৃত মূলধন ৫ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা এবং বাজার মূলধন ৩ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা।

একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পে নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে, যার ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান এই সেক্টরে প্রবেশের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।

এরফলে নতুনরা তহবিল তৈরি এবং আত্মবিশ্বাস প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। জটিলতা হ্রাস এবং খাতের উন্নতির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জগুলি রয়ে গেছে।

 

Share
নিউজটি ১১৩ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged