editorial

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগকে সাধুবাদ

সময়: মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯ ৭:৩০:৪৮ অপরাহ্ণ


পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে সাময়িক তারল্য সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববার এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ব্যাংক খাতে তারল্য সঙ্কট মোকাবেলায় তফসিলি ব্যাংকগুলোর ‘ঋণ-আমানত হার’ (এডিআর) ও ‘বিনিয়োগ-আমানত সীমা’ (আইডিআর) বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুঁজিবাজারের বর্তমান মন্দা পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ ধরনের উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।

প্রসঙ্গত: চলমান পুঁজিবাজারের মন্দা পরিস্থিতির জন্য ‘তারল্য সঙ্কট’ একটি অন্যতম কারণ বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছিলেন। এককভাবে আইসিবি’র পক্ষে এত বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না এবং সেটা সম্ভবও নয়। এমতাবস্থায়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে সাময়িক তারল্য সুবিধা প্রদানে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাংকের অগ্রিম ও আমানতের অনুপাত নির্ধারিত মাত্রা অপেক্ষা কম এবং এসএলআর সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। এসব ব্যাংকের জন্য আইনি সীমার মধ্যে থেকে পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তিক ইন্সট্রুমেন্টে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সার্বিক ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যাংকগুলোর এরূপ বিনিয়োগে অংশগ্রহণ (নিজস্ব পোর্টফোলিওতে সরাসরি বিনিয়োগ অথবা সাবসিডিয়ারী কোম্পানিতে ঋণ প্রদানকরতঃ উক্ত কোম্পানির নিজস্ব পোর্টফোলিওর আকার বৃদ্ধির মাধ্যমে পরোক্ষ বিনিয়োগ) পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি গতিশীল পুঁজিবাজার নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলার অনুযায়ী, তারল্য সুবিধা গ্রহণেচ্ছুক ব্যাংকের একক ও কনসোলিডেটেড উভয় ভিত্তিতে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৮ পর্যন্ত সংশোধিত) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত সার্কুলারে বর্ণিত সর্বোচ্চ সীমার (বিবেচ্য মূলধন উপাদানের ২৫ শতাংশ এবং কনসোলিডেটেড ভিত্তিতে বিবেচ্য মূলধন উপাদানের ৫০ শতাংশ) কম হতে হবে। তারল্য সুবিধা গ্রহণের পরও বর্ণিত বিনিয়োগ সীমা পরিপালন করতে হবে।

ব্যাংকসমূহের অতিরিক্ত তারল্য হতে ট্রেজারি বন্ড বা বিল রেপোর মাধ্যমে এই তারল্য সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। ট্রেজারি বন্ড বা বিলের রেপো মূল্যের ৫ শতাংশ মার্জিন হিসেবে রেখে তারল্য সুবিধা প্রদেয় হবে। নগদে রেপোর অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজের বাজারমূল্য আদায়যোগ্য অর্থ অপেক্ষা কম হলে তা ইতোপূর্বে গৃহীত মার্জিন হতে সমন্বয় করা হবে এবং সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে ব্যাংক তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।

প্রাথমিকভাবে রেপোর মেয়াদ ২৮ দিন হলেও তহবিল ব্যবহারের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে তা সর্বোচ্চ ৬ মাস পর্যন্ত ঘূর্ণায়মাণ রাখা যাবে। এরূপ রেপোর জন্য কোন অকশনের প্রয়োজন হবে না এবং সুদের হার হবে ৬ শতাংশ।

Share
নিউজটি ৪০৪ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged