নকল মাস্ক: জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেফতার

সময়: মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০ ৭:১০:৫০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: নকল এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে জেএমআইয়ের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদক কর্তপক্ষ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আবদুর রাজ্জাককে দুদকে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। দুপুর ২টায় এ বিষয়ে ব্রিফিং করবে দুদক।

এ আব্দুর রাজ্জাক হচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এর আগে জালিয়াতি ও প্রতারণা অভিযোগের পেক্ষিতে আব্দুর রাজ্জাককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৮ জুলাই তাকে দুদকে উপস্থিত হয়ে রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।

জেএমআই গ্রুপের অপর এক কোম্পানি, পুঁজিবাজারে আসার প্রক্রিয়ায় থাকা জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফেকচারিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে উঠা মাস্ক  জালিয়াতির প্রেক্ষিতে আব্দুর রাজ্জাককে তলব করেছিল দুদক। তিনি জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফেকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) মাস্কসহ মেডিক্যাল সামগ্রি সরবরাহের ক্ষেত্রে আব্দুর রাজ্জাকের জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট প্রতারণার আশ্রয় নেয় বলে অভিযোগ ছিল। কোম্পানিটি সিএমএসডিতে ‘নকল এন-৯৫’ সরবরাহ করে বলে এই অভিযোগ।

তবে গণমাধ্যমে ওই নকল মাস্কের খবর প্রকাশের পর সিএমএসডির পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, তারা জেএমআইয়ের কাছ থেকে এন-৯৫ মাস্ক কেনার জন্য কার্যাদেশ দেয়নি। অন্যদিকে জেএমআইয়ের রাজ্জাক দাবি করেছিলেন, তারা সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়ে তা সরবরাহ করতে গিয়ে ‘ভুল করে’ এন-৯৫ মাস্কের কার্টন দিয়ে ফেলেছিল তাদের কর্মীরা। আর এই ‘এন-৯৫ মাস্ক’ তাদের কারখানায় উৎপাদিত হয়েছে, যা ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে।

অবচেতনভাবে রাজ্জাক এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে বড় ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণা বিষয়টি স্বীকার করে ফেলেন। কারণ বিশ্বে ‘এন-৯৫ মাস্ক’ উৎপাদন করে কেবল একটি কোম্পানি, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের থ্রি এম ইনকরপোরেশন। বিশ্বের কয়েকটি দেশে এর কারখানা থাকলেও বাংলাদেশে কোনো কারখানা নেই। আবার জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিটকেও তারা এই মাস্ক উৎপাদনের অনুমতি দেয়নি। এর অর্থ অবৈধভাবেই জেমএমআই দেশে ‘এন-৯৫’ মাস্ক উৎপাদন করছিল। এটি যদি ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে থেকে থাকে তাহলেও বড় অপরাধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি, কারণ যে পণ্য উৎপাদনের অনুমতি নেই সেটি পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনেরও সুযোগ নেই।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এম

Share
নিউজটি ৫৪৭ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged