নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ১৭ মে এক বছর পূর্ণ করবেন শিবলী রুবায়েতুল ইসলাম। ২০২০ সালের এই দিনে বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিএসইসি’র চেয়ারম্যান হিসেবে গত এক বছরে তিনি পুঁজিবাজারে তালিকাভক্তির জন্য ১৬ কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- এসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, এএফসি হেলথ লিমিটেড, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজে, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড এ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, ই-জেনারেশন লিমিটেড, মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড এবং প্রথম এসএমই কোম্পানি কমিশন নিয়াকো অ্যালুস লিমিটেড। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজার থেকে মোট এক হাজার ৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া হয়।
এর মধ্যে ১০টি কোম্পানি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ২৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- এসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড, এএফসি হেলথ লিমিটেড, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড এ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, ই-জেনারেশন লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং নিয়াকো অ্যালুস লিমিটেড।
অন্যদিকে, ৬টি কোম্পানি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৮০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পায়। কোম্পানিগুলো হলো- ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড।
এসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড : এ কোম্পানিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে বাজারে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ উত্তোলন করা অনুমোদন দেয়া হয়। পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি মজুদ ছাউনি, প্লান্ট সেড নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচ মেটাবে।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ভারিত গড় শেয়ার প্রতি আয় (ডবরমযঃবফ আবৎধমব ঊচঝ) ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০১৯ তারিখে পুনর্মুল্যায়ন ব্যাতিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৭ টাকা ৩৭ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে বিডি ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল হোল্ডিংস।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড : কোম্পানিটিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করার অনুমোদন দেয়া হয়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওতে কোম্পানিটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার ইস্যু করবে। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৭টি শেয়ার নিলামে সফল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করা হবে। বাকি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬টি শেয়ার বিক্রি করা হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে মোট ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এরমধ্যে বিডিংয়ে অংশ নেওয়া যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকা ও আইপিওতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকা সংগ্রহ করেব। উত্তোলনযোগ্য ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া ৩৩ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ ও ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা দিয়ে আইপিও খরচ পরিচালনা করা হবে।
বিডিংয়ে ওয়ালটনের কাট-অফ প্রাইস হয়েছে ৩১৫ টাকা। এই দরে বিডিংয়ে অংশ নেওয়া যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ওয়ালটনের শেয়ার কিনবেন। তবে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টে আইপিওতে শেয়ার ইস্যুর বিধান থাকলেও ওয়ালটন সাধারন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্টে প্রতিটি শেয়ার ২৫২ টাকা করে ইস্যু করে।
সর্বশেষ ৫ অর্থবছরে কোম্পানিটির ভারিত গড় হিসাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২৮ টাকা ৪২ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে আছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড : কোম্পানিটি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া হয়। মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে কোম্পানিটি এলপিজি প্রকল্পের ব্যবসায় সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৪৫.১৫ টাকা ও শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তির মূল্য ( পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) ৩০.২০ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩.১৩ টাকা।
আরো উল্লেখ্য, বিগত ৫ টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নীট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ওয়েটেড এভারেজ ইপিএস) ২.২১ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব¡ নিয়োজিত রয়েছে লঙ্কা বাংলা ইনভেসমেন্ট লিমিটেড।
এএফসি হেলথ লিমিটেড : কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। যা দিয়ে মেশিনারিজ ও ইক্যুপমেন্ট ক্রয় এবং আইপিও খরচ পরিচালনা করা হবে।
এএফসি হেলথের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৭ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) রয়েছে ১৩.১৩ টাকা।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে সিএপিএম এডভাইজরি ও ইমপেরিয়াল ক্যাপিটাল।
ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড : প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি নির্ধারিত মূল্য পদ্ধতির (ঋরীবফ চৎরপব গবঃযড়ফ) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পায়।
আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ বিল্ডিং নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম স্থাপন, যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ : বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৮২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৯টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পায়। এর মধ্যে ৪৩ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৪টি শেয়ার প্রতিটি ৫০ টাকা মূল্যে (প্রান্ত সীমা থেকে ২০ শতাংশ বাট্টায়) ইস্যুর মাধ্যমে ২১ কোটি ৮০ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা উত্তোলন করে। আর বাকি ৩৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৫টি শেয়ার কাট-অব প্রাইসে অর্থ ৬২ টাকা করে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যুর মাধ্যমে ২৪ কোটি ১৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩০ টাকা উত্তোলন করে।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট।
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড : কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমতি পায়। আইপিওর টাকা দিয়ে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ও এফডিআর এ বিনিয়োগ করবে ও আইপিও খরচ পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড এ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ : লাভেলো ব্রান্ডের আইসক্রীম কোম্পানি তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড এ্যাগ্রো ইন্ডাস্টিজ্র প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন পেয়েছে। কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমতি পায়।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং সন্ধানি লাইফ ফাইন্যান্স।
ই-জেনারেশন লিমিটেড : কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমতি পায়। যা দিয়ে ডিজিটাল প্লাটফরম সল্যুশন, নতুন বাজার উন্নয়ন, আইওটি-ভিত্তিক সল্যুশন এবং আইপিও খরচ পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড : কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মার্ধমে পুঁজিবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা অর্থ উত্তোলনের অনুুমতি পায়। কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ২,০৭,৭১,৫৪৭ টি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে এই টাকা উত্তোলন করে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটি মূলধণী যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশােধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়ােজিত রয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড : আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করার অনুমাতি পায়। ব্যাংকটি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিও’র মাধ্যমে অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা মূল্যে ১২ কোটি শেয়ার ইস্যু করে।
উত্তোলিত অর্থের মধ্য থেকে সরকারি সিকিউরিটিতে ১১০ কোটি টাকা এবং পুঁজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। আর আইপিওর প্রক্রিয়ার জন্য ব্যয় হবে ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড : বিএনও’ ব্র্যান্ডের কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।
দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড : কোম্পানিটিকে প্রতিটি ১০ টাকা ইসু মূল্যের ১ কোটি ৬০ লাখ সাধারণ শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ইস্যু করার প্রস্তাব কমিশন অনুমোদন করেছে। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করে। উত্তোলিত অর্থ সরকারি ট্রেজারি বন্ড ও ফিক্সড ডিপোজিট,পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ বাবদ ব্যয় করা হবে।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স : বীমা কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে তালিকাভুক্তির জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পেয়েছে। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নেট অ্যাসেট ভ্যালূ ২৫.৪৭ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুন:মূল্যায়ন করেনি) এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড। বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আওতায় কোম্পানিটিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য বিডিং অর্থাৎ নিলামের অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই অর্থ কোম্পানিটি তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলি ও বারাকা পাওয়ারে বিনিয়োগ করবে, এছাড়াও আংশিক দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর জন্য ব্যয় করবে।
৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত বছরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। গত ৫ বছরে কর পরবর্তী মুনাফার ভারিত গর হারে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৩০ টাকা।
গত ৩০, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভিপিএস) ছিল ২৩ টাকা।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
নিয়াকো অ্যালুস লিমিটেড : প্রথম এসএমই কোম্পানিটিকে অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। কমিশন নিয়াকো অ্যালুস লিমিটেডকে এসএমই সেক্টরে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের লক্ষ্যে অনুমোদন দিয়েছে।
নিয়াকো অ্যালুস ১০ টাকা মূল্যে ৭৫ লাখ শেয়ার ইস্যু করে সাড়ে ৭ কোটি টাকা মুলধন সংগ্রহ করবে। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে কোম্পানিটি যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এই টাকা সংগ্রহ করবে। সংগ্রহ করা টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ভূমি উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয় ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩০ সেপ্টেম্বর,২০২০ সময় অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হলো ৯১ পয়সা। এই সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১২ টাকা ৪৩ পয়সা।
জানা গেছে, কোম্পাইটি নিকেল অ্যালমুনিয়াম কপার তৈরি করে।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান