কমোডিটি মার্কেট প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার এখনো প্রস্তুত নয়। কমোডিটি মার্কেট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। সে পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি’র কাছে এক পত্রের মাধ্যমে কমোডিটি মার্কেট প্রতিষ্ঠার হালনাগাদ তথ্য জানতে চেয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। এর জবাবে বিএসইসি উপরোক্ত মতামত দিয়েছে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা যায়।
জানা যায়, বিএসইসি’র মতে, কমোডিটি মার্কেট প্রতিষ্ঠার আগে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে কমোডিটি পণ্যের গুণগতমানের নিশ্চয়তা প্রদানে ব্যবস্থা করা। কমোডিটি বা পণ্য সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ ও হস্তান্তরকরণের জন্য নিবন্ধিত ওয়ারহাউজ সুবিধা এবং এর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। মার্কেট অংশীদারদের সচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা। ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য মূল্য নিরূপণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য কমোডিটি সম্পর্কে যথাযথ তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা। পাশাপাশি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গঠনের প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করা।
পার্শ্ববর্তী দেশের উদাহরণ দিয়ে বিএসইসি বলেছে, ভৌগলিক অবস্থান, ঝুঁকি অবকাঠামো অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় ভারতের সক্রিয় ৪টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে পৃথক পৃথক ইনস্ট্রুমেন্ট লেনদেন হয়ে থাকে; যা বোম্বে ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত নয়। এর মধ্যে মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া (এমসিএক্স) লিমিটেডে গোল্ড, মেটাল, প্রাকৃতিক গ্যাস, ক্রুড অয়েল, কটন, সিলভার লেনদেন হয়। ন্যাশনাল কমোডিটি অ্যান্ড ডেরাইবেটিভস (এনসিডিএক্স) লিমিটেডে নিত্যপণ্য নয় এমন কৃষি পণ্য লেনদেন হয়। ন্যাশনাল মাল্টি-কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া (এনএমসিই) লিমিটেডে রাবার, পাট, কোপরা বা নারকেলের শুষ্ক শাঁস, চট এবং পাটের কাঁচামাল লেনদেন হয়। আর ইন্ডিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (আইসিএক্স) ডায়মন্ড, স্টিল এবং মসলা জাতীয় পণ্য লেনদেন হয়।
কমোডিটি মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত নয় পুঁজিবাজার
সময়: রবিবার, নভেম্বর ৩, ২০১৯ ৬:০১:৩৩ অপরাহ্ণ