রাজধানীর মতিঝিলে ‘ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ’ (ডিএসই) ভবনের সামনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। ডিএসই’র এ ধরনের পদক্ষেপে বিস্মিত হয়েছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কিংবা নিজের মত প্রকাশের অধিকার একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। ডিএসই’র মত একটি বেসরকারি সংস্থা এ অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। দেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম।
পেছনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, ডিএসই ভবনের সামনের রাজপথটি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও দাবি আদায়ের একটি অ-লিখিত প্ল্যাটফর্ম। এখানে দাঁড়িয়ে তারা দিনের পর দিন, বছরের পর বছর এমন কী ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পর দিন-রাত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির আগে এবং পরেও শাপলা চত্বর থেকে ডিএসই ভবন পর্যন্ত গোটা এলাকাটাই ছিল বিনিয়োগকারীদের দখলে। তখনো কিন্তু কোনো সমস্যার কথা ওঠেনি। অতীতের ঘটনার তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ ও মানবন্ধন কর্মসূচি নিতান্তই সাদামাটা একটি বিষয়। কিন্তু এহেন ঘটনা নিয়ে ডিএসই’র পদক্ষেপ নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জানা যায়, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচির কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যাতায়াত, অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়া এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে অভিযোগ করেছে ডিএসই।
কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যেসব কারণে রাজপথে নেমেছেন Ñসেগুলো কি একেবারেই অযৌক্তিক কোনো বিষয়? কেন তাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে? কেন তাদের রাজপথে নামার আগেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ডিএসই ও সিএসইসহ দায়িত্বশীলদের এগুলো খতিয়ে দেখা উচিত।
প্রসঙ্গ : ডিএসই কর্তৃক জিডি
গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ কাম্য
সময়: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৯, ২০১৯ ১০:৪৩:০৩ পূর্বাহ্ণ