editorial

শুধু কোম্পানি নয়, শোকজের আওতায় আনতে হবে বিনিয়োগকারীদেরকেও

সময়: রবিবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২১ ১২:২০:০৮ অপরাহ্ণ


বাজারে স্বাভাবিক স্থিতিশীলতায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্বল, ঝুঁকিপুর্ণ স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলো। এসব কোম্পানিতে টার্গেট করে একটি চক্র কারসাজির মাধ্যমে নিজেদের ফাঁয়দা হাসিলে সক্রিয় থাকে। এদের টার্গেট থাকে স্বল্পমূলধনী, ঝুকিপূর্ণ ও দুর্বল কোম্পানিগুলো। এরা কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগ শেয়ার কিনে নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে দর নিয়ন্ত্রন করে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই শেয়ার ক্রয় বিক্রির মাধ্যমে শেয়ার দর বাড়িয়ে বাজারে গুজব রটিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে আকৃষ্ট করে। এদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সার্বিক বাজার চিত্রে।

দেখা যায়, বাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর তুলনায় অস্বাভাবিক হারে দর বাড়ে নিতান্তই দুর্বল ও ঝুঁকিপুর্ণ কোম্পানিগুলোর। এতে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দর সে হারে বাড়েনা। এতে নেতিবাচক প্রভাব পরে লেনদেন ও সূচকে। বাজারে তালিকাভুক্ত মৌলভিত্তি কোম্পানিগুলোর তুলনায় দুর্বল কোম্পানিগুলোর দর অনেক বেশি দেখা যায়। কোনো কোম্পানির অস্বাভাবিক হারে দর বাড়লেই নিয়ম অনুযায়ী ডিএসই শোকজ করেই দায় সারে। কোম্পানিগুলোও দায়সারা গোছের জবাব দেয় দর বাড়ার কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য তাদের কাছে নেই। ডিএসইও জানে শোকজের জবাব কি হবে। এরপরও কোম্পানিগুলোকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়। তবে এটা বন্ধ করতে হবে। কোম্পানির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদেরকেও শোকজের আওতায় আনতে হবে। কেন তারা ভালো কোম্পানিগুলো রেখে কোন যুক্তিতে দুর্বল ও ঝুঁকিপুর্ণ কোম্পানিতে উচ্চ দরে বিনিয়োগ করছে। শেয়ারবাজারের উন্নয়নি ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এটি করা হলে বাজারে কারসাজি বন্ধ হবে এবং স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে।

Share
নিউজটি ৩৭১ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged