নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘জোডিয়াক পাওয়ার চট্টগ্রাম লিমিটেড’-এর ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে মালিকানায় এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘কনফিডেন্স সিমেন্ট’। এর আগে শেয়ার কেনার বিষয়টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন করেছে। ডিএসই ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, জোডিয়াক পাওয়ার চট্টগ্রামের মোট ৫১ লাখ শেয়ার কিনেছে কনফিডেন্স সিমেন্ট। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য হবে ১০ টাকা। এসব শেয়ার গত ৬ আগস্ট থেকে কেনা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জোডিয়াক পাওয়ার চট্টগ্রাম পটিয়ার কলাগাঁওয়ে অবস্থিত একটি স্বাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। যা ৫৪ দশমিক ৩৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হ্যাভি ফুয়েল অয়েল (এইচএফও) বেইজড পাওয়ার প্লান্ট। প্লান্টটির সব ধরনের মেশিনারি জার্মানি। কোম্পানিটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) নিকট বিক্রয় করবে। গত ৩০ আগস্ট থেকে পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
কনফিডেন্স সিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, অনেক আগে থেকেই তাদের জোডিয়াক পাওয়ারের শেয়ার কেনার পরিকল্পনা ছিল; কিন্তু নানা কারণে তা কেনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে কোম্পানির পর্ষদের অনুমোদনসাপেক্ষে জোডিয়াক পাওয়ারের ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় এসেছে কনফিডেন্স সিমেন্ট। পাওয়ার প্লাটের শেয়ার ধারণ করায় বছরে কনফিডেন্স সিমেন্টের মুনাফায় একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তারা।
এ সম্পর্কে কনফিডেন্স সিমেন্টের কোম্পানি সচিব দেলোয়ার হোসেন ‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’কে বলেন, ‘জোডিয়াক পাওয়ার প্লান্টের ৫১ শতাংশ মালিকানায় এসেছে কনফিডেন্স সিমেন্ট। পাওয়ার প্লান্টের উৎপাদন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তিন মাস নিয়মিত উৎপাদনে থাকলে বোঝা যাবে কী পরিমাণ মুনাফা অর্জন করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে আগামী প্রান্তিকে বলা যাবে কনফিডেন্স সিমেন্টের মুনাফায় কেমন প্রভাব পড়ছে।’
সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ৩ মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ১০ পয়সা। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে গত মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ টাকা ৯ পয়সা।
কনফিডেন্স সিমেন্ট পুঁজিবাজারে ১৯৯৫ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৯টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ২৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার আছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান