editorial

দফায় দফায় পরিবর্তন ব্যাংক খাতের জন্য ইতিবাচক নয়

সময়: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯ ৩:০০:৩৬ অপরাহ্ণ


ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণ ও বিনিয়োগ সীমা পুনরায় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ব্যাংকিং প্রবণতা রোধে গত বছর ৩০ জানুয়ারি ‘অগ্রীম-আমানত’ ও ‘বিনিয়োগ-আমানত’-এর সীমা কমিয়ে আনা হয়েছিল এবং এটি বাস্তবায়নে চার দফা সময় বাড়িয়ে ব্যাংকগুলোকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ‘অগ্রীম-আমানত হার’ (এডিআর) ৮১ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ এবং ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ও প্রচলিত ধারার ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং-এর ‘বিনিয়োগ-আমানত হার’ (আইডিআর)-এর ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৮৯ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বর্ধিত ঋণ বিতরণ বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পর্ষদের অনুমোদন লাগবে।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক খাতের বিদ্যমান তারল্য সঙ্কট মোকাবেলায় এটি একটি ভালো পদক্ষেপ। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো যাতে আগ্রাসী ব্যাংকিং-এ জড়িয়ে না-পড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। তবে দফায় দফায় নীতিগত পরিবর্তন ব্যাংক খাত এবং পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক নয়। কারণ দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাত ও ব্যাংক খাতের শেয়ার বড় একটি ভূমিকা রেখে চলেছে। পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক মন্দাবস্থার পেছনে বড় একটি কারণ হচ্ছে ব্যাংক খাতের বর্তমান নাজুক অবস্থা।

বলাবাহুল্য, বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাত অনেকটা পুঁজিবাজারের মতোই এক ধরনের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ব্যাংক খাতের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে ঋণ-আমানত অনুপাত সীমার মধ্যে নেই। খেলাপি ঋণের হারও উচ্চ। একই সঙ্গে অবারিত করা হচ্ছে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের সুযোগ। শিথিল করা হয়েছে ঋণ শ্রেণীকরণ পদ্ধতি, যা আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং-এ পিছিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দেশের ব্যাংকগুলোকে এখন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হচ্ছে। ফলে বেড়ে যাচ্ছে ব্যবসা ব্যয়।

Share
নিউজটি ৪০০ বার পড়া হয়েছে ।