আড়াই বছরের মধ্যে ডিএসই প্রধান সূচক সর্বনিম্ন অবস্থানে নামার পর গতকাল মঙ্গলবার দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। তবে সূচক. শেয়ার দর ও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বাড়লেই যে, পুঁজিবাজারে পতনের ধারা কেটে গেছে Ñএমনটি বলা যাচ্ছে না। কারণ টানা মন্দা বাজারে দুয়েকদিন হঠাৎ সূচক ও শেয়ার দর বাড়তেই পারে। সার্বিকভাবে এখনও যেটা বলা যায়, সেটা হচ্ছেÑ পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, যেসব কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে- আস্থার সংকট, কোম্পানির দুর্বল পারফরমেন্স, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তা, ফরেন সেল বেড়ে যাওয়া, গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইথ কমানো ও পিপলস লিজিংয়ের বন্ধ ঘোষণা ইত্যাদি। কিন্তু এর বাইরে আরও একটি বড় কারণ থাকতে পারে। সেটা হচ্ছেÑ পুঁজিবাজারকে ঘিরে নতুন কোনো কারসাজি কিংবা বাজার খেলোয়াড়দের অদৃশ্য হাত। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোকে এ বিষয়টি অবশ্যই বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।
এদিকে এখনো রাজপথে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। গতকালও তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন Ñএমনই সিদ্ধান্ত তাদের।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান