আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুঁজিবাজারে লক-ইন ফ্রি হচ্ছে ১০টি কোম্পানির ১২ কোটিরও বেশি শেয়ার। আলোচ্য সময়ে ফ্রি হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা পরিচালক বা প্লেসমেন্টধারীদের শেয়ার রয়েছে। কাছাকাছি সময়ের মধ্যে এতোগুলো কোম্পানির শেয়ার ফ্রি হলে পুরো বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। কারণ বাজারে এখন তারল্য সঙ্কট চলছে। সাধারণত প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীরা শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে যান। ফলে এই বিক্রিতে মার্কেট থেকে তহবিল বেরিয়ে যেতে পারে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন বাজারে যদি বেশি শেয়ার সরবরাহ হয়, তাহলে দর কমে যাওয়ার আশঙ্কার আছে। এতে শেয়ারগুলোর সঠিক মূল্যায়ন হবে কি না Ñতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিযোগকারীদের মতো প্লেসমেন্ট এবং অল্টারনেটিভ ফান্ডের লক-ইন পদ্ধতি ধাপে ধাপে হওয়া উচিত। এতে বাজার শেয়ারগুলো সহজে ধারণ করতে পারবে এবং বাজারে চাপ দৃশ্যমান হবে না।
আবার কারো কারো মতে, যেসব কোম্পানির শেয়ার লক-ইন ফ্রি হচ্ছে, সেগুলোর পারফরমেন্স দেখে বাজার তাদের দর ঠিক করে নেবে। যদি তাদের পারফরমেন্স ভালো হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মূল্যায়ন করবেন। আর যদি দুর্বল পারফরমেন্স হয়, তাহলে সেসব শেয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
প্রসঙ্গত: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক ‘সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫’-এর গেজেট অনুযায়ী, উদ্যোক্তা পরিচালক ও ১০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার ধারণকারীদের জন্য ৩ বছর লক-ইন প্রযোজ্য হবে। এছাড়া উদ্যোক্তা পরিচালক ও ১০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার ধারণকারীদের হস্তান্তরকৃত শেয়ারে লক-ইন ৩ বছর, আইপিওর ৪ বছরে পূর্বে ইস্যুকৃত শেয়ারে ১ বছর, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে ১ বছর ও বাকি অন্যসব শেয়ারে ২ বছর লক-ইন রাখা হবে।
যেসব কোম্পানির শেয়ার লক ইন ফ্রি হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ এস্কয়ার নিট কম্পোজিট, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এসএস স্টিল, ইন্দোবাংলা ফার্মা, ফরচুন সুজ, জেনেক্স ইনফোসিস, কাট্টালি টেক্সটাইল, রানার অটোমোবাইলস, নিউ লাইন ক্লোথিংস ও সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান