নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) আবেদনের প্রেক্ষিতে মার্জিন হিসাবের পুন:মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন রাখার মেয়াদ অতিরিক্ত দুই বছর বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি বিএসইসির ৭১৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও আজকের সভায় সাইবার সিকিউরিটি গাইডলাইনস ফর ক্যাপিটাল মার্কেট ইন বাংলাদেশের কতিপয় সংশোধন/পরিবর্তন সাপেক্ষে সাইবার সিকিউরিটি গাইডলাইনস ফর ক্যাপিটাল মার্কেট ইন বাংলাদেশের অনুমোদন প্রদান করেছে বিএসইসি।
জানা যায়, ডিবিএ’র আবেদনের প্রেক্ষিতে কমিশন, বিএসইসির নির্দেশনা নং এসসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/২০৩ তারিখ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ এর মাধ্যমে প্রদত্ত স্টক ডিলার হিসাব ও স্টক ব্রোকারের মক্কেলের মার্জিন হিসাবের পুন:মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিত প্রভিশন রাখার ঐচ্ছিক সুবিধার বিদ্যমান মেয়াদ অতিরিক্ত আরো ২ বছর বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মেয়াদ এক দফা বাড়ানো হয়। সে সময়ও ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিত সময় বাড়ানো হয় বলে বিএসইসি থেকে জানানো হয়।
বিএসইসির এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, প্রভিশন সংরক্ষণ সংক্রান্ত ঐচ্ছিক সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধসের পর ২০১৩ সালে স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলারের অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে সুবিধা দিয়ে নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
বিএসইসির জারি করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স ১৯৬৯ এর সেকশন ২০-এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে কমিশন স্টক ব্রোকার/স্টক ডিলারসমূহের অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সংরক্ষণের সুবিধা প্রদান করে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক ডিলারদের ডিলার হিসাবে (ডিলার অ্যাকাউন্ট) ধারণকৃত শেয়ারের, স্টক ব্রোকার কর্তৃক গ্রাহকদের অনুকূলে বণ্টনকৃত মার্জিন ঋণের মাধ্যমে ক্রয়কৃত শেয়ারের এবং মার্চেন্ট ব্যাংক সমূহ (যার জন্য প্রযোজ্য) নিজস্ব পোর্টফোলিওতে ধারণকৃত শেয়ারের ও গ্রাহকদের অনুকূলে বণ্টনকৃত মার্জিন ঋণের মাধ্যমে ক্রয়কৃত শেয়ারের পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির (আনরিয়েলাইজড লস) বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন ডিসেম্বর ২০১২ হতে ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পাঁচটি ত্রৈমাসিক সমান অংশে (২০ শতাংশ) সংরক্ষণের ঐচ্ছিক সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কমিশন।
তবে এসব সুবিধা কেবলমাত্র ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ সমাপ্ত বছরে (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) উদ্ভুত পুনর্মূল্যায়নজনিত ক্ষতির (অনাদায়কৃত) প্রভিশনের জন্য প্রযোজ্য হবে। তৎপরবর্তী সময়ে রক্ষিতব্য প্রভিশন (যদি থাকে) যথা নিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে এবং উপরোক্ত সুযোগসমূহ গ্রহণের ফলে উক্ত আর্থিক বছরের জন্য কোনো ধরনের নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) প্রদান করা যাবে না।
তবে পরবর্তীতে কয়েক দফা প্রভিশন সংরক্ষণের এ সুবিধা বাড়িয়েছে বিএসইসি। ২০১৮ সালের আগে ২০১৭ সালে প্রভিশন সংরক্ষণ সংক্রান্ত সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়ে বিএসইসির জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২০-এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে কমিশন, স্টক ব্রোকার/স্টক ডিলারসমূহের অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য সুবিধা প্রদান করল।
ক) স্টক ডিলারদের, ডিলার হিসাবে (ডিলার অ্যাকাউন্ট) ধারণকৃত শেয়ারের ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ভিত্তিক (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির (আনরিয়েলাইজড লস) বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন ডিসেম্বর ২০১৭ হতে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পাঁচটি ত্রৈমাসিক সমান অংশে (২০ শতাংশ) সংরক্ষণের ঐচ্ছিক সুবিধা প্রদান করা হলো।
খ) স্টক ব্রোকার কর্তৃক গ্রাহকদের অনুকূলে বণ্টনকৃত মার্জিন ঋণের মাধ্যমে ক্রয়কৃত শেয়ারের ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ভিত্তিক (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন ডিসেম্বর ২০১৭ হতে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পাঁচটি ত্রৈমাসিক সমান অংশে (২০ শতাংশ) সংরক্ষণের ঐচ্ছিক সুবিধা প্রদান করা হলো।
তবে এ সব সুবিধা কেবলমাত্র ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত বছরে (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) উদ্ভুত পুনর্মূল্যায়নজনিত ক্ষতির (অনাদায়কৃত) প্রভিশনের জন্য প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে ২০১৭ সালের মূল্য হ্রাসজনিত ক্ষতিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। তৎপরবর্তী সময়ে রক্ষিতব্য প্রভিশন (যদি থাকে) যথা নিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে। এই সুযোগসমূহ গ্রহণের ফলে উক্ত আর্থিক বছরের জন্য কোনো ধরনের নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা যাবে না।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান