প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইলের কলরেটে বাড়তি কর বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে টেলিযোগাযোগ সেবার বর্ধিত কর বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বর্তমানে প্রধান সমস্যা দফায় দফায় বিনা কারণে করারোপ করা। চলতি বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব আনার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটররা তা কার্যকর করার যে উদ্যোগে নিয়েছে তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
‘প্রথমত, হাইকোর্টের রিটের নিষ্পত্তি না হওয়া সত্ত্বেও সরকার ও অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে শুল্ক আদায় করছে। যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। অপারেটরদের কাছে ১২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আদায় না করে গ্রাহকদের কাছ থেকে নতুন করে অর্থ আদায় করার প্রচেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া নতুন করে সিমকার্ডের উপর অতিরিক্ত ১০০ টাকা কর প্রত্যাহার করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে সংযোগ গ্রহণ করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা জনগণের উপর জুলুমের শামিল।’
তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইন্টারনেটের উপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রী এ শুল্ক প্রত্যাহার করলেও আজও কম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পায়নি গ্রাহকেরা। উল্টো আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে নতুন করে ৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে।
কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ডিজিটাল প্রযুক্তির সেবা ব্যবহারে অতিরিক্ত ব্যয় নিরুৎসাহিত করবে। তাই চলতি বাজেট অধিবেশনে দু-এক দিনের মধ্যে বর্ধিত কর প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে আগামী ২৯ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
কর্মসূচিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দীক, কাজী সাব্বির, বাপ্পী সরদার, যাত্রী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।