সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালা, ১৯৮৭ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালা, ২০১৯’। সংশোধিত বিধিমালায় বিভিন্ন সংজ্ঞার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তনের পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয় সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সংশোধিত বিধিমালার খসড়া প্রস্তাবে স্টক এক্সচেঞ্জের বার্ষিক ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। বছর শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে এ ফি পরিশোধে ব্যর্থ হলে স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের রেজিস্ট্রেশন, নবায়নের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে- প্রত্যেক বছর স্টক এক্সচেঞ্জের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন ফি বাবদ কমিশনকে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে, যা অফেরতযোগ্য। একইসঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জকে রেজিস্ট্রেশনের সনদ নিতে ১ কোটি টাকা পে অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
বিশ্বের অন্য কোনো দেশে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে এ ধরনের বার্ষিক ফি-সহ জরিমানার আদায়ের বিধান না থাকায় বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ দ্বি-মত পোষণ করছে বলে জানা যায়।
যে কোনো আইনই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংস্কার বা যুগোপযোগী করাটা সর্বত্র স্বীকৃত একটি বিষয়। তবে আইনটি যাতে সহজেই বাস্তবায়ন করা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহণের পাশাপাশি বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা দরকার।
জানা যায়, গত ২০ আগস্ট বিধিমালাটির খসড়া প্রস্তাবের ওপর বিএসইসি-তে একটি পরামর্শমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মশালার আলোকে স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিসহ পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছে কমিশন। ওই পরামর্শ অনুযায়ী শিগগিরই বিধিমালাটির খসড়া প্রস্তাব জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রকাশ করা হবে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালা, ১৯৮৭ সংশোধনের উদ্যোগ : সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহণের পাশাপাশি বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নিতে হবে
সময়: সোমবার, আগস্ট ২৬, ২০১৯ ৩:৩৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ