অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড জমা দেয়ার সময় বেধে দিয়েছে বিএসইসি

সময়: মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪ ১:০১:০০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড জমা দেয়ার সময় বেধে দিয়েছে বিএসইসি (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন)

আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড, রাইট শেয়ার ও প্রাইমারি শেয়ার জমা দিতে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোকে ২ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে জরিমানা করা হবে।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জরিমানার বিধান রেখে একটি আদেশ জারি করেছে। যা ১ মার্চ ২০২৪ থেকে কার্যকর করে।

কোম্পানিগুলোকে জরিমানার অর্থসহ অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড, রাইট শেয়ার ও প্রাইমারি শেয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সিএমএসএফ-এ স্থানান্তর করতে হবে।

এর আগে ২০২১ সালে শেয়ারবাজারের সহযোগিতায় সিএমএসএফ গঠনের পর, কমিশন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলিকে তাদের তিন বছরের বেশি সময় ধরে অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড ওই তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

সিএমএসএফ কর্মকর্তাদের মতে, কিছু কোম্পানি শতভাগ ক্যাশ ও ডিভিডেন্ড স্থানান্তর করেছে। কিন্তু অন্যরা এখনো করেনি। আবার কিছু কোম্পানি ক্যাশ ডিভিডেন্ড জমা করেছে, কিন্তু এখনও বোনাস ডিভিডেন্ড স্থানান্তর করেনি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এখনো প্রায় ৮০টি কোম্পানি অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড জমা দেয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা সত্ত্বেও কোম্পানিগুলো স্থানান্তরে বিলম্ব করছে।

বিএসইসির নতুন আদেশে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানি দাবিবিহীন বা অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড (ক্যাশ ও বোনাস উভয়), রাইট শেয়ার, বা ফেরত না পাওয়া পাবলিক সাবস্ক্রিপশন হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের এই অর্থের উপর প্রতি মাসে ২ শতাংশ জরিমানা আরোপ করা হবে এবং জরিমানাসহ জমা করতে হবে।

বিএসইসির হিসেব অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে অবন্ঠিত ডিভিডেন্ডের পরিমাণ হতে পারে ২১ হাজার কোটি টাকা। তবে এই অর্থের পরিমাণ কমে যেতে পারে। কারণ কিছু কোম্পানি তাদের শেয়ারহোল্ডারদের চিহ্নিত করে তড়িঘড়ি করে ডিভিডেন্ড বণ্টন করেছে।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজার তহবিল গঠনের পর ৩৫৪টি কোম্পানি তড়িঘড়ি করে শেয়ারহোল্ডারদের খুঁজে তাদের মধ্যে মোট ৫৯৯ কোটি টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিতরণ করেছে।

এদিকে, ৩৪৯টি কোম্পানির কাছে অবন্ঠিত ১৯৩ কোটি ৮৫ লাখ বোনাস ডিভিডেন্ড রয়েছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮ হাজার ১০৭ কোটি টাকারও বেশি।

গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলি থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা পেয়েছে। এরমধ্যে বোনাস ডিভিডেন্ড বাবত ১ হাজার কোটি টাকা এবং ক্যাশ ডিভিডেন্ড বাবত ৬০০ কোটি টাকা।

এই তহবিল হতে সিএমএসএফ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) কে অর্থ যোগান দিয়েছে এবং সিএমএসএফ একটি মিউচুয়াল ফান্ড চালু করেছে।

এছাড়া, ব্রোকারেজ হাউজ ও ডিলারদের মতো মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে শেয়ারবাজারকে সহযোগিতা করতে ১০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে।

এদিকে, বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির অবন্ঠিত ডিভিডেন্ড, রাইট শেয়ার ও আইপিও শেয়ার যাচাই করতে নিরীক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রক্রিয়া তালিকাভুক্ত প্রায় ৫০টি কোম্পানিতে ১৮ জন নিরীক্ষক নিয়োগ করা হবে।

 

Share
নিউজটি ৭৭ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged