আবারও মার্জিন ঋণে সংশোধন

সময়: সোমবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১ ৯:২১:০৪ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আবারো মার্জিন ঋণে সংশোধন করেছে। এতদিন তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন হলে ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত মার্জিন ঋণ সুবিধা পাওয়া যেতো না। এখন থেকে জেড ক্যাটাগরি সিকিউরিটি ছাড়া বিদ্যমান কোন তালিকাভুক্ত সিকিউরিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ প্রদানে কোন বাধা থাকবে না। বিএসইসির ৮০৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোন সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদান করা যাবে না। স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন তালিকাভুক্ত কোন সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য তা তালিকাভুক্তির তারিখ হতে প্রথম ৩০ দিন কোন মার্জিন ঋণ প্রদান করা যাবে না। জেড ক্যাটাগরি সিকিউরিটি ছাড়া বিদ্যমান কোন তালিকাভুক্ত সিকিউরিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ প্রদানে কোন বাধা থাকবে না।

তবে শর্ত থাকে যে, তালিকাভুক্ত কোন সিকিউরিটি জেড ক্যাটাগরি হতে উচ্চতর কোন ক্যাটাগরিতে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের তারিখ হতে ৭ ট্রেডিং দিবস পর্যন্ত উক্তক সিকিউরটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদান করা যাবে না।

উল্লেখ্য, শেয়ারজবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়ম অনুযায়ী তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন হলে সেই কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের জন্য বিনিয়োগকারীরা মার্জিন ঋণের সুবিধা পাবেন না। এ শর্ত সব ক্যাটাগরির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিল। ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর এমন আইন জারি করেছিল বিএসইসি।
ক্যাটাগরি নির্ধারণ হয় যেভাবে-
শেয়ারবাজারে কোন কোম্পানি নতুন তালিকাভুক্ত হলে প্রথম এক বছর ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করে। পরে সাধারণত সেই কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানের ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়।

তালিকাভুক্তির পর কোন কোম্পানি যদি প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করে তবে সেই প্রতিষ্ঠানকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়।

বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিলে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হয়। আর তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি যদি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয় তবে ওই কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেনের জন্য স্থানান্তর করা হয়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ২৬৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। অর্থাৎ এই কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের নগদ ১০ শতাংশ বা তার বেশি ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আর ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয়া ৭১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। এছাড়াও বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দিতে পারেনি এমন ৩৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। আর শেয়ারবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত বা ‘এন’ ক্যাটাগরিতে শেয়ার লেনদেন হচ্ছে এমন কোম্পানির সংখ্যা ১২টি।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ২৩৬ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged